আমি কি শুধু একাই ভালো বেসেছিলাম ?
তুমিও তো অনেক বেসেছিলে....
কেন তবে আমায় এখন দুঃখের দরিয়ায়
ঠেলে দিয়ে চলে গেলে ?
এজন্যে যদি ঐ রোজ হাশরের ময়দানে
দায়ী হয়ে থাকতে না চাও
তবে আমাকে বাঁচাও....
তোমাকে নিয়ে জীবন চলার পথে আমি
হয়ে পড়েছি তোমাতেই নির্ভরশীল ।
তুমি কি জানতে না তুমিবিনা এক মুহুর্ত
পার করলে ব্যকুল হতো যার দিল ?
তিল তিল করে সেই তাকে মেরে ফেলে
যদি অপরাধী হতে না চাও
তবে আমাকে বাঁচাও....
তোমাতে আমাতে তা তো ছিল না শ্রেফ
তথাকথিত কোন প্রেম ভালোবাসা ।
পক্ষান্তরে তা ছিল আর্তমানবতার তরে
একটা লক্ষ্য বাস্তবায়নের উচ্চ আশা ।
হতাশা কবলিত জনতার আদালতে
তাই দাঁড়াতে যদি না চাও
তবে আমাকে বাঁচাও....
আমি তোমার সাথে কোনরূপ কুবাসনা
চরিতার্থে গড়িনি প্রেমের আলপনা ।
আমাদের সম্পর্কের মাঝে ছিল আল্লাহ্
রসূলের আদর্শ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ।
বলেছি সম্পর্ক নষ্টে ছিল ইবলিশের ভয়
তার জয় হতে দিতে যদি না চাও
তবে আমাকে বাঁচাও....
নিজের কোন প্রয়োজন মিটাতে তোমায়
মিথ্যা আশ্বাসে আমি বানাইনি প্রিয়জন ।
বরং সেই মহাপরিকল্পার নিবিড় প্রেরণা
যোগাতে তোমাকে ছিল খুব প্রয়োজন ।
মহা আয়োজন করে যদি আমায় বঞ্চনা
দিয়ে বিবেক দংশাতে না চাও
তবে আমাকে বাঁচাও....
আমাদের এই সম্পর্কের কথা আমি যে
লিখে রেখেছি ডায়েরির পাতা ভরে ।
হ্যাঁ, সব লিখেছি তোমাকেই দায়ী করে
তার জবাব দেবে আমি গেলে মরে ।
কি এমন সুখের তরে সব অবজ্ঞা করে
কোথায় যাও ? যদি এসব না চাও
তবে আমাকে বাঁচাও....
কোন আশা আকাঙ্ক্ষা ছাড়া এ জগতে
মানুষ কি করেই বা বাঁচে বল ?
জীবনের শ্রেষ্ঠ আশা হারিয়ে কি করেই
বা নিত্য যন্ত্রণায় ভুগে করে চলাচল ?
আমার সব আশা কেড়ে তুমি অভিশপ্ত
হয়ে বেঁচে থাকতে যদি না চাও
তবে আমাকে বাঁচাও....
আমাকে বাঁচাও... আমাকে বাঁচাও....
আমি বাঁচতে চাই... আমাকে বাঁচতে
দাও.... শুধুই যে তোমারই প্রেরণায়,
তোমায় বিনা স্বর্গেও শান্তি পাবো না
তাও শুনে নাও, আমাকে বাঁচতে দাও
আমায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে যদি
আজীবন অনুতপ্ত হতে না চাও
তবে আমাকে বাঁচাও....
যদি প্রজন্মের প্রশ্নবানে কভু জর্জরিত
হতে না চাও ।
যদি প্রকৃতির প্রতিশোধের আগুনেও
আজীবন জ্বলতে না চাও ।
যদি ইতিহাসের পাতায় ঘৃণ্য চরিত্রে
অমর হয়ে থাকতে না চাও ।
তবে আমাকে বাঁচতে দাও.. বাঁচতে
দাও.. বাঁচতে দাও..।
আমি বাঁচতে চাই এ জগতে সবারই
মঙ্গলের তরে কথা দিচ্ছি লিখে নাও
তবু আমাকে তুমি বাঁচতে দাও ।
আমাকে বাঁচাও...আমাকে বাঁচাও...
এর বিনিময়ে আমার সর্বস্বই উজার
করে দেবো কল্যানকর যা চাও ।
রচনাকালঃ- সকাল ৮:৫৮টা, শনিবার, ৬ কার্তিক ১৪২৯, ২২ অক্টোবর ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।