তোমাকে আমি এমন করে চেয়েছিলাম,
যেন শরতের নরম রোদ্দুর,
যেন কুয়াশায় ঢেকে থাকা প্রভাতের সোনালি কণা,
যেন শিশিরবিন্দুর গায়ে জমে থাকা সূর্যের দীপ্তি।
তোমাকে আমি এমন করে চেয়েছিলাম,
যেভাবে ব্যাকুল নদী ছুটে চলে সাগরের পানে,
যেভাবে গোধূলির আকাশ ধরে রাখে শেষ আলো,
যেভাবে বৃষ্টির জন্য ব্যাকুল হয় তপ্ত মাটি।
আমি তোমাকে ডেকেছি প্রতিটি মৌসুমে,
দেখেছি তোমার মুখপানে সন্ধ্যার ম্লান আলোয়,
শুনেছি তোমার নাম বাতাসের উড়ন্ত গুঞ্জনে,
তবু তুমি ছিলে দূরের কোনো এক মেঘপাহাড়।
তুমি আসবে ভেবেছিলাম,
হয়তো বসন্তের প্রথম কোকিলের ডাকে,
হয়তো বর্ষার রাতের শ্রাবণস্নাত বাতাসে,
হয়তো নিস্তব্ধ চাঁদের আলোয় ঢেকে থাকা প্রহরে।
তোমাকে আমি এমন করে চেয়েছিলাম,
যেভাবে কবির কলম চায় শব্দের ছোঁয়া,
যেভাবে শূন্যতা চায় এক চিলতে গভীরতা,
যেভাবে প্রেমিকের মন চায় এক বুক ভালোবাসা।
কিন্তু তুমি কি জানো?
তোমার না আসা এক দীর্ঘ অরণ্য,
যেখানে পথহীন আমার অপেক্ষার বৃক্ষেরা
দাঁড়িয়ে আছে নিঃসঙ্গ, ঝরে পড়া পাতার মতো।
তবুও আমি চাই তোমাকে,
অস্পর্শ এক চন্দ্রিমার মতো,
যেন অনন্ত আকাশের তারার আলো,
যেন অবিনশ্বর এক ভালোবাসার স্পর্শ।