শৈশব ছিল রঙিন ঘুড়ির মতো,
নীল আকাশে উড়তে থাকা এক অভিমানহীন স্বপ্ন,
কাঁচা রোদ, বৃষ্টির ফোঁটা,
বেলাশেষে কাঁদা মাখা পা নিয়ে ঘরে ফেরা।
মায়ের কোলে নিরাপদ এক ভুবন,
বাবার হাত ধরে শেখা প্রথম পদচিহ্ন।

কৈশোর এল ঝড়ের দোলা নিয়ে,
স্বপ্নেরা তখন উত্তাল তরঙ্গের মতো ছুটে চলা নদী,
অস্থিরতা, অজানা এক কৌতূহল,
স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবের প্রথম সংঘর্ষ,
বিধ্বস্ত মনেও আশার আলো জ্বলে।

তারপর এলো যৌবনের উত্তাল দিন,
পথ চলার দ্বিধা, দুঃসাহস,
নতুন পৃথিবীর হাতছানি,
অবিশ্বাস, অভিমান, পরাজয়ের গ্লানি—
তবু আশার সুর বাজে হৃদয়ের তারে।

এখন স্মৃতির সাঁঝবাতি জ্বলে,
পেছন ফিরে দেখি ফেলে আসা প্রতিটা মহুর্ত,
শৈশবের সেই উচ্ছ্বাস,
কৈশোরের অস্থিরতা,
যৌবনের লড়াই—
সব মিলিয়ে এক বর্ণময় জীবনগাঁথা,
যার প্রতিটি অধ্যায় হৃদয়ে অমলিন।

আমি সেই মহুর্তগুলো খুব মিস করি
সেই মাটির উঠোনে,
যেখানে প্রথম দৌড় শিখেছিলাম,
যেখানে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক মিলতো সন্ধ্যার আলোয়,
যেখানে এক মুঠো ভালোবাসায় ভরতো আমার ছোট্ট বুক।
কিন্তু সময়ের নিষ্ঠুর স্রোত আমায় ভাসিয়ে এনেছে,
এক নির্জন উপকূলে—
যেখানে শূন্যতা ছাড়া কিছু নেই,
স্মৃতিগুলো শুধু দোল খায় বাতাসে,
কিন্তু ছুঁতে পারি না,