রৌদ্রের প্রতিমা, দাঁড়িয়ে আলোয়,
দুপুরের কুহক যেন শস্যের ঢেউ,
আলোর দহন বুকে, স্মৃতির অভিপ্রায়,
দুচোখে ভেসে ওঠে এক অদেখা রূপের ছায়া।

যুবকের হৃদয়ে থমকে থাকা ক্ষণ,
বুকের গভীরে বাজে অচেনা এক সুর,
অপ্রকাশ্য কথা, অজানা এক টান,
জীবনের বাঁকে জেগে ওঠে অব্যক্ত বিরহের সুর ।

কেন যে থেমে যায় পথের গতি,
কেনই বা দেহে নামে নিঃশব্দ কাঁপন?
বোধহীন হৃদয়ে জেগে ওঠে চিরন্তন ক্ষুধা,
যা শুধু স্পর্শ চায়, কিন্তু পায় না অবলম্বন।

রৌদ্রের প্রতিমা, তুমি কি কেবল আলোরই খেলা?
নাকি তুমি জীবন, প্রেম, আর হারানোর বেদনা?
তোমার নিঃশব্দ ভাষা, তোমার নীরব দহন,
জীবনবোধে জাগায় এক অন্তহীন প্রশ্নের ধ্বনি।

শুধু আলোর নয়, ছায়ারও আছে এক রূপ,
প্রেমের উল্টোপিঠে লুকিয়ে থাকে বিরহের আক্ষেপ,
জীবনও তেমনি—আলোক-অন্ধকারের মিশ্রণ,
যেখানে প্রতিমা আর ছায়া একই গল্পের অংশ।