মনের ভেতর এক অদৃশ্য ঢেউ ওঠে,
সে না আলো, না অন্ধকার, না কোনো পরিচিত অনুভূতি।
এক নীরব স্পর্শ, ঘুমহীন রাতের মতো,
কুয়াশায় ঢাকা এক ধূসর পথ,
যার গন্তব্য অজানা, যার ভাষা নিরব।
সে যেন অর্ধেক লেখা কবিতার পঙক্তি,
নিরুত্তর প্রশ্নের মতো তার ছায়া,
অন্ধকারে ডুবে থাকা গোধূলির আলো,
যে আসে, থেমে থাকে, তবু কভু বলে না কথা,
তার স্পর্শহীন ছোঁয়ায় জাগে এক গভীর ব্যথা।
তাকে ছুঁতে চাই, সে দূর সীমানায় চলে যায়,
কখনো কুয়াশা, কখনো মরীচিকা হয়ে যায়।
সে কি এক পরিত্যক্ত নীড়ের ব্যথা?
নাকি বিস্মৃত দিনের ভগ্নগাথা?
শব্দেরা বোবা, ভাষা ব্যর্থ,
সে কেবল এক শিহরণ, মনের এক আকুতি।
সে নদী নয়, অথচ বুকের গভীরে অজানা স্রোত,
সে শিখা নয়, তবু জ্বলে অন্তরাত্মার গোপন বিদ্রুপ,
নিঃশব্দে বহন করি দহন অগ্নিস্নান।
রাত্রি নামে, সে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে,
দিন আসে, তবু অদৃশ্য অন্ধকারে ঢাকে।
বিষাদের গায়ে জড়িয়ে থাকে তার শরীর,
সে না সুখ, না দুঃখ, শুধু এক নীরব অধীর।
সে এক অপূর্ণ গল্প, যা শেষ হয় না কখনো।
যদি তাকে ছুঁতে যাই, সে আরও দূরে চলে যায়,
যেন সমুদ্রের ঢেউ, তবু নির্লিপ্ত কূলে।
সে কি বিরহ? নাকি অভিমান?
নাকি হৃদয়ের অতল গভীরে নিরবচ্ছিন্ন বয়ে চলে এক অভ্যন্তরীণ তুফান?
এই শূন্যতা কি রঙহীন প্রতিচ্ছবি?
নাকি নক্ষত্রের আলোতে লুকিয়ে থাকা এক পলাতক ব্যাকুলতা?
উত্তরহীন সে, তবু থাকে,
স্মৃতির মতো, মনের গহীনে কেবল তার নিঃশব্দ ডাকে।