অর্ধ উলঙ্গ বছর চারেক এর ছেলেটা
কেঁদে কেঁদে সারা টা স্টেশন চত্বর জুড়ে
খুঁজে বেরাচ্ছে তার মা কে।
আধো গলার চিৎকারে সরগরম করে তুলেছে চারধার।
অফিস যাত্রী দের ব্যস্ত পায়ে জড়িয়ে যাচ্ছে মাঝে মাঝেই।
ধ্যাত্তেরি বলে পাশ কাটিয়েই ট্রেন ে ওঠার তাড়াহুড়ো
অফিস ে লেট হবে যে না হলে!
বিরক্তি মুখে কারোর কারোর উক্তি বড় হয়ে তো হবে
পাক্কা চোর বা ডাকাত!
আবার কোনও কোনও পরিবার যারা সপরিবারে
যাচ্ছেন পূজার ছুটি তে ঘুরতে বেড়াতে,
একটু সহানুভূতি দেখিয়ে বলে যাচ্ছেন,
' আহা রে কার যে বাচ্ছা , কিভাবে কেঁদে কেঁদে ঘুরছে,
কি আক্কেল বাবা মায়ের বলিহারি যাই।
বাস তার ষ্টেশন লাগোয়া একটি ঝুপড়ি ঘরে।
ঘর বলতে দুটি ছেঁড়া কাপড় টাঙ্গানো একটি পাঁচ ফুট বাই
পাঁচ ফুটের একটা আস্তানা।
সে ঘরে আজ পড়ে আছে মায়ের হাতের কিছু ভাঙা কাঁচের চুরির টুকরো,
আর পায়ের একটা দস্তার নূপুর, যা গতকাল রাতের ধস্তা ধস্তির
নিদর্শন মাত্র।
কে বা কারা তার মাকে তুলে নিয়ে গেছে গত রাতে।
পিচুটি ভরা চোখের দুকোন জলে ভিজিয়ে, তার নয় বছরের
দিদি ও সারাটা দিন খুঁজে ফিরেছে মা কে তার।
বিফল হয়ে ফেরে ওই ছোট্ট নয় বছরের মেয়েটি, সেই চেনা আস্তানায়
দিনের শেষে।
ফিরে দেখে ক্লান্ত অবসন্ন ভাই তার কখন ঘুমিয়ে পড়েছে কাঁদতে কাঁদতে
মাতৃ স্নেহে তুলে নেয় ভাই এর ছোট্ট মাথা টা কোলের ওপরে তার,
মনে পড়ে যায় বেশ কয়েক বছর আগেও মা একবার এমনিই হারিয়ে গেছিল।
তার কিছু দিন পরেই সে পায় তার ছোট্ট ভাই তার এক মাত্র খেলার সাথী কে।
ভাবতে থাকে তবে কি মা এবার ও!!!!!!