গুনে গুনে অনেকগুলো মিথ্যা আউড়েছি...
সব আড়াল করে শুধু বলেছিলাম,
মায়াতে আমার কোনো দুর্বলতা নেই
বৃক্ষের ঠোঁট আমার ওপর প্রভাব ফেলতে অপারগ।
পাখিদের উড়তে দ্যাখলে
আমার উড়ার সাধ জাগে না।
নদী বেঁকে গ্যালে
আড়ালের গ্রামটির জন্য
কোনো ছবি আঁকি না।
অথচ
মাতাল হাওয়া জানলার খিড়কি নাড়লে
মৃত্তিকা হিশেব সহজ করে নেয়
এবং স্মৃতিতে জাগিয়ে তোলে প্রথম প্রেমিকার চুলের ঘ্রাণ।
যদিও আমার কোনো প্রেমিকা নেই
কল্পনা ব্যতীত।
আর যেহেতু এটা অসামান্য কবিতা...
অতঃপর
টুইস্ট পাওয়ার জন্য দু'একটা চরিত্র জন্ম দেয়া যেতেই পারে।
অপরিচিত পায়ের দাগ বেঁয়ে
একগুচ্ছ পদ্য আটকে
ফেলা যায়
শব্দের ভেতর।
যেভাবে,
নিঃসংকোচ দেয়ালের দূরত্ব বেড়ে চলে
একপাশে অভিমান গিলে খায়
ভালোবাসা
অন্যপাশে হৃদয় ডুবে যায় আগ্নেয়গিরির চাঞ্চল্যে।
ঘুম না আসা রাত কৃষ্ণপক্ষের
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকে
অলস ব্যালকনিতে!
নক্ষত্র থেকে আকাশে অভিবাদন ঝরে পড়লে কৃষ্ণপক্ষ খুয়ে যায়,
দিনের প্রথম আলোতে
জন্ম নেয় সহজ প্রেম
মর্ত্যের ঘাসে বিচ্ছুরিত রশ্মি
জাগিয়ে তুলে পিপীলিকার স্পন্দন
কাফনে মোড়ানো রাইফেল-
সহস্র জনমের প্রতীক্ষায়
পুড়তে থাকে ডানার ব্যর্থতায়।