আমি তোমার হয়ে বহুবার ভেবেছি-
কোথাও ভালোবাসার অবসর পাইনি!
অথচ প্রশস্ত সময় ছিলো কংক্রিটের আড়ালে-
পাঠ করা যেতো গণতান্ত্রিক বুক!
সরল অভিব্যক্তি কুঁড়িয়ে
অনুবাদ করা যেতো
পাঁজরের অদৃষ্ট ব্যথা।
যা গুড়িয়ে দিয়েছিলো সময়ের দুকূল।

আমি তোমার হয়ে বহুবার হেঁটেছি
শহরের যান্ত্রিকতায়
কাছে আসার মতো অজস্র বিকেল ছিলো
শুধু সুযোগের চৌকাঠ মাড়িয়ে তুমি আসতে চাওনি!
ধোঁয়াটে মেঘে আচ্ছন্ন আমাদের নিরেট ভালোবাসা মুখ থুবড়ে পড়েছিলো-
কী দারুণ অবহেলায়!!

আমি তোমার হয়ে অনেকবার কেঁদেছি-
শুধু চুপসে যাওয়ার অলৌকিক ক্ষমতা
নিয়ে তুমি ভেঙে দিলে পুতুলখেলার ঘর।
অথচ তোমার অধিকারে ছিলো একটা হৃদয়
যে সকাল-সাঁঝে ডুবে থাকতো মায়ার ভেতর।
ভালোবাসা দ্যাখলে-
ডুকরে কেঁদে উঠতো!
দুর্বল ছিলো-
নিবন্ধিত চোখের লেনাদেনায়।
প্রার্থনায় পড়িয়ে দিতো কপালের টিপ।

আমি তোমার হয়ে বহুবার হেসেছি!
মধুকূপী ঘাসে জলফড়িনের ছুটোছুটি
দেখে-
সন্তর্পণে ছেদ করেছি
অপরাহ্নের ছায়া।
ধূসর ক্ষত নিয়ে নির্বিঘ্নে মাতিয়েছিলাম সমুদ্রের স্বর।
অথচ পাহাড়ি ঢাল বেঁয়ে তুমি হারিয়ে গ্যালে গহিন কুঠুরিতে...
যেখানে জীবন আঁধারে নিমজ্জিত।