প্রেসক্লাবের জনক তুমি কাটিয়েছো অর্ধশত বছর,
নিঃসঙ্গ জীবন তোমার, চলে গেলে নিরবে-নিভৃতে।
নিঃস্বার্থ প্রেম-ভালোবাসা আর মায়া এতো নিষ্ঠুর হয়,
নিঃসঙ্গ করে দেয় প্রেমিকের হৃদয়।
তোমার এ নিঃসঙ্গতার দায় কে নিবে?
করেছিলে প্রেম হয়েছিলে দ্রোহ,
পরেছিলে মায়ায় হারিয়েছিলে সব মোহ।
নিলেনা তো কিছু দিয়ে গেলে দৃষ্টান্ত,
বুঝিয়ে গেলে মায়ায় পড়িলে বাকি জীবনে লাগেনা আর কিছু।
বৈরাগ্য সাধনে সফল তুমি বাকিরা বিফল,
নিঃস্বার্থ প্রেমিক হওয়া এতো কি সহজ?
জগৎ সংসার সব ছাড়িয়া,
দিয়েছিলে সকল জেবিন তাহার তরে,
তবুও সে তোমার হইলো না একি নির্মম যন্ত্রণা।
যেদিন চিনেছিলাম তোমায়,
বুঝেছিলাম মায়া কাকে বলে।
হৃদয়ের ভিতর আরো এক হৃদয় আছে,
যেখানে শুধু মায়া থাকে।
৭৬ বর্ষের চার পঞ্চমাংশ করেছিলে লালন,
তোমার ঐ পবিত্র প্রণয় তবুও কমেনি হেলেন মোহ,
কি প্রণয়ে মজেছিলে তুমি আমৃত্যু রাখিলে তা ধরে।
তোমারই জীবনে দেখে গেলে এখন আর প্রেম নেই, নেই কোন মায়া।
সম্পর্ক গুলো স্বায়ী নয়,সব হলো কচু পাতার জলের মতো,
স্বার্থ নির্ভর দুনিয়ায় এখন সব হলো মিথ্যে মায়া।
তোমার লেখনীতে নিজেকে যেভাবে ছড়ালে,
কেউ না রাখুক তোমায় মনে,
তবুও আজীবন থাকিবে তুমি মায়ায় মোহ হওয়া মানুষ গুলোর গহীন হৃদয়ে।