📌📌.....

অগত্যা হেসেখেলে জিতে যেতে;
মিশে যাই হেঁসেলের চিটচিটে তেলে,
বাসা বাঁধে 'ঘামচিতি' চৌকির তলায়!
    মহামতি পালঙ্কে গড়াগড়ি স্বপন  
    শয়নকক্ষের কলঙ্কে আত্মপক্ষ চয়ন!
মহাকাব্যের অন্দরে সর্পকবিরাজ;
ভাষার কোলে বসে একফুঁয়ে আঁকি,
নিরাশার অপভ্রংশে সর্পিল বাগান!
    নির্বিষ দংশের উপর্যুপরি ছোবলে;
    বংশের 'ঘরচিতি' পরম্পরায় ঘুরি,
    অঙ্গার প্রেমের আঁচে মুখবন্ধে রচি
কুলাঙ্গার প্রেমিকের ধন্দ পরিচিতি!
ভান করা ধ্যানের গান ধরা বিদ্বান হয়ে
- বৈরাগ্য পৃষ্ঠায় জমাই বিতৃষ্ণার ক্ষীর ||

প্রবেশ নিষেধ ডিঙিয়ে পৌঁছাতে চাই,
বেনামি ভূমির সুনামির পাড়ে!
    ভণ্ড সাধকের দৌর্দণ্ড উত্তরীয় পরে;
    অখণ্ড গর্বে প্রসবিত বহুজাতিক শব,
    বখাটে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তাই -
    আন্তর্জাতিক শ্মশান খুঁজে ফিরি!
চার পায়ে হেঁটে সেখানেও পৌঁছে যাই;
নতুন যতিচিহ্ন লিখে দিতে থাকি,
বন্ধ্যা ব্যাকরণের প্রতিটি পাতায়!
      দশ হাতে যশকলম তুলে নিয়ে;
      বেজিমুখো ছন্দের মুণ্ডপাত করে,
বশীকরণ কালির আঁচড়ে অবশ করি,
ছত্রবিহীন পত্রের দিনরাত্রির সূত্রে লেখা  
- পৃথিবীগর্ভের তাবত পোয়াতি কবিতা ||

অসবর্ণ চর্চার গোবরভূমিতে;
উবে যাওয়া হাওয়ার প্রলম্বিত দাঁতে,
খুবলে খেয়ে নিই শব্দশরীর!
ভাণ্ডারখানা কিংবা শুঁড়িঘর কবরখানা;
     মনমতো মনখানা বৈঠক সাজিয়ে,  
     বাক্যের কাঁটাতারে গেঁথে রাখি,
স্বরবর্ণের দাঁড়াশ ব্যাঞ্জনবর্ণের শঙ্খচূড়!
    বর্ণিল বর্ণের রঙিলা ঢোঁড়াসাপ পুষে;
    চন্দ্রবোড়ার মুখে তুলে দিই একাহার,
    কালাচ কেউটে বিষের কৌটো কবচ!
সুতানলীর মালা পরিয়ে বাঁদর গলায়;  
আবর্তনে টিকে থাকি বিলম্বিত গীতে,  
বিবর্তনে গোখরো কবির দাঁতমুখ ভেঙে
- ভোঁদড় দলপতি সাজি রসিক নৃপতি ||
___________________