তথাকথিত ভালবাসা দিবস নামের এক ভুল উৎসবে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ সমাজ, দিনদিন এই ভুলের প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে অপসংস্কৃতি ধারণ করে আমাদের সমাজ শুধু নৈতিক স্খলনশীল হচ্ছে না, আমরা পরিণত হচ্ছি বিপর্যস্ত এক বিশাল অবক্ষয়ের নমুনাস্বরূপ। কিছু লেখক সাংবাদিক কলমসৈনিক জ্ঞানীকুল এই অজ্ঞানী বোধকে সুন্দর এবং রঙিন উপমা দিয়ে সাজিয়ে নিচ্ছেন যে যার মত, আসল ইতিহাস এবং প্রকৃতই কি ভালবাসা দিবস বলতে কিছু আছে!! জেনে নিন লেখক ও পাঠক সমাজ, আসুন আমরা বিরত থাকি ভালবাসা দিবস বলা থেকে, মিথ্যার মিথ সাজানো অপসংস্কৃতি থেকে, স্রষ্টার সব দিন ভালবাসায় রঙিন করি।
কারো কাছে এর চাইতে যুক্তিনির্ভর তথ্য থাকলে লিখতে পারেন আমি মেনে নিব, যুক্তিনিষ্ঠ না হলে বলুন, ভালবাসা দিবস বলে কিছুই নেই। আসুন যুক্তিসহ আলোচনায় লিপ্ত হই, নিজে জানি অন্যকেও জানাই, প্রতিদিন হোক সত্যিকারের ভালবাসার,
============================
পশ্চিমা দেশগুলোতে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ বলা হয়। এ দিনটিকে ‘লাভ ডে’ অথবা‘লার্ভাস ফেস্টিভ্যাল’ বলা হয় না। অথচ আমাদের দেশে‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ এর অনুবাদ করে বলা হচ্ছে ‘ভালবাসা দিবস’এরূপ অনুবাদের কারণে এদেশের সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। 'ভালবাসা’ একটি জনপ্রিয় শব্দ। ‘ভালবাসা দিবস’ বলায় এটা যে ভিন্ন দেশ ও ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে এসেছে সেটা তারা সহজে বুঝতে পারছেনা।
একইভাবে অন্যান্য মুসলিম ও বাঙ্গালী অধ্যূষিত দেশগুলোতে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ তার নিজ নামের পরিবর্তে অনুবাদের ছদ্মাবরণে প্রবেশ করছে। ফলে এ দিবসের প্রকৃত অর্থ, উৎপত্তির কারণ ও ইতিহাস তাদের কাছে অজানা থেকে যাচ্ছে।
অনেকটা হুজুগের বশবর্তী হয়ে ভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতিতে লালিত ও পরিপুষ্ট একটি ধর্মীয় উৎসবের দিনকে উপমহাদেশের ধর্মীয় ভাবধারানুসারী বিশাল জনগোষ্ঠি বিশেষকরে তরুণ ও যুবকরা নিজেদের একটি অন্যতম উৎসবের দিন হিসেবে গ্রহণ করছে!‘সেন্ট
ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ এর আসল পরিচয়
‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’(Saint Valentine’s Day) এর প্রথম শব্দটিই এ দিনটির আসল পরিচয় বলে দিচ্ছে।
Advanced Oxford Learners’ Dictionary তে Saint শব্দের অর্থ লেখা হয়েছে: a person declared to be holy by the Christian Church because of her/his qualities or good works অর্থাৎ: এমন ব্যক্তি, খৃষ্টান গীর্জা কর্তৃক যাকে তার
গুণাবলী বা ভাল কাজের জন্য পবিত্র সত্তা হিসেবে ঘোষণা করাহয়। আর Valentine শব্দের অর্থ ভালবাসা নয়। Valentine মূলত একজন ব্যক্তির নাম।খ্রীস্ট ধর্মের জন্য জীবন উৎসর্গ করার কারণে যাকে গীর্জা কর্তৃক Saint (পবিত্র সত্তা)ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সুতরাং সহজেই বুঝা যায়,
গীর্জা কর্তৃক ‘পবিত্র সত্তা’হিসেবে ঘোষিত একজন ধর্ম যাযকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এ দিনটি উদযাপনের মূল কারণ।‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ এর ইতিহাস বিভিন্ন Encyclopedia অধ্যয়ন করলে সহজেই Saint Valentine এর ইতিহাস সম্পর্কে জানা যাবে। আরো জানা যাবে Saint Valentine’s Day এর উৎপত্তির কারণ।
২৭০ খৃষ্টাব্দের কথা। তখন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস
নারী-পুরুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তার ধারণা ছিল, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে যুদ্ধের প্রতি পুরুষদের অনীহা সৃষ্টি হয়। সে সময় রোমের খৃষ্টান গীর্জার পুরোহিত ‘ভ্যালেন্টাইন’রাজার নির্দেশ অগ্রাহ্য করে গোপনে নারী-পুরুষের বিবাহ বন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতেন।এ ঘটনা উদঘাটিত হওয়ার পর তাকে রাজার কাছে ধরে নিয়ে আসা হয়।
ভ্যালেন্টাইন রাজাকে জানালেন, খৃস্ট ধর্মে বিশ্বাসের কারণে তিনি কাউকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বারণ করতে পারেননা। রাজা তখন তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় রাজা তাকে খৃষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক
ধর্মে ফিরে আসার প্রস্তাব দেন এবংবিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার
কথা বলেন।উল্লেখ্য,রাজা দ্বিতীয় ক্লডিয়াস প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে বিশ্বাস করতেন এবং তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যে এ ধর্মের প্রাধান্য ছিল। যাহোক, পুরোহিত ভ্যালেন্টাইন রাজার প্রস্তাব
মানতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং খৃস্ট ধর্মের প্রতি অনুগত থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন।
তখন রাজা তাকে মৃত্যুদন্ডের নির্দেশ দেন। অতপর রাজার নির্দেশে ২৭০ খৃস্টাব্দের ১৪ই ফেব্রুয়ারী ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ ঘোষণা
পরবর্তীতে রোমান সাম্রাজ্যে খ্রীস্ট ধর্মের প্রাধান্য সৃষ্টি হলে খ্রীস্টান
গীর্জা ভ্যালেন্টাইনকে ‘Saint’ হিসেবে ঘোষণা করে। ৩৫০ সালে রোমের যে স্থানে ভ্যালেন্টাইন কে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল সেখানে তার স্মরণে একটি গীর্জা নির্মাণ করা হয়। অবশেষে ৪৯৬ খ্রীস্টা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ (Saint Valentine Day) হিসেবে ঘোষণা করেন। এ দিনে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গীর্জায় খ্রীষ্টান ধর্মমতে পবিত্র সত্তা (Saint) নিবার্চনের জন্য একটি লটারীর আয়োজন করা হত। লটারীতে যার নাম আসত সে সংশ্লিষ্ট বছর থেকে গীর্জা ও খ্রীস্ট ধর্মের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করত।
‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন’ এর প্রেম প্রসঙ্গঃ
কথিত আছে,ভ্যালেন্টাইন কারাগারে থাকাকালে কারারক্ষীর যুবতী মেয়ের প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। ২৭০ খ্রীস্টাব্দের ১৪ ফেব্র“য়ারি তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার দিন সে কারারক্ষীর
যুবতী মেয়েকে একটি চিরকুট লিখে যায় যার শেষে লিখা ছিল, ” From Your Valentine” অর্থাৎ ‘তোমার ভ্যালেনটাইনের পক্ষ থেকে’। ভ্যালেন্টাইনের প্রেম সম্পর্কে এর চেয়ে বেশী কিছু জানা যায় না।
১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ ঘোষণার মূল কারণঃ
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কারারক্ষীর যুবতী মেয়েরপ্রেমে ভ্যালেন্টাইনের কথিত ভালবাসার কারণে কি খ্রীষ্টান পোপ গ্ল্যাসিয়াস ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ঘোষণা করেছিলেন?
নিশ্চয়ই না। কারণ,খ্রীস্ট ধর্মে পুরোহিতদের জন্য বিয়ে করা বৈধ নয়।পুরোহিত হয়ে কারো যুবতী মেয়ের প্রেমে আসক্তি খ্রীস্ট ধর্ম মতেও অনৈতিক কাজ।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, ভালবাসার কারণে ভ্যালেন্টাইন কে কারাগারে যেতে হয়নি।
কারণ,সে কারারক্ষীর যুবতী মেয়ের প্রেমে আসক্ত হয়েছিল কারাগারে যাওয়ার পর। সুতরাং, ভ্যালেন্টাইন কে কারাগারে নিক্ষেপও মৃত্যুদন্ডদান এর সাথে ভালবাসার কোন সম্পর্ক ছিলনা। তাই ভ্যালেন্টাইনের কথিত ভালবাসা ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ এর মূল বিষয় ছিল না। বরং খ্রীস্ট ধর্মের প্রতি গভীর ভালবাসাই ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ডের কারণ ছিল। কারণ নারী-পুরুষের বিবাহ
বন্ধনে আবদ্ধ হতে রাজার নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে তিনি গোপনে নারী-পুরুষের বিবাহ বন্ধনের কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে তার ধর্মীয় বিধান পালন করেছিলেন এবং অবশেষে তাকে জীবন দিতে হয়েছিল। আর খ্রীস্ট ধর্মের প্রতি তার এহেন গভীর ভালবাসার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেই মূলত তার মৃত্যুদন্ডের দিনটিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
প্রেম দেবতাদের পুজা:
১৪ই ফেব্রুয়ারির প্রাচীন ইতিহাস, খৃস্টান সম্প্রদায়ের একটি নিরেট ধর্মীয় উৎসব কিভাবে প্রেমিক-প্রেমিকাদের উৎসবে পরিণত হল
এটা জানার জন্য আমাদেরকে প্রাচীন রোমানদের ধর্মীয় উৎসব
‘লুপারকেলিয়া (Lupercalia) সম্পর্কে জানতে হবে। খ্রীষ্টান পোপ গ্ল্যাসিয়াস কর্তৃক ৪৯৬ খ্রীষ্টাব্দে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট
ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ (Saint Valentine Day) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত এদিনটি প্রাচীন রোমানরা তাদের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালন করত।
রোমানরা খ্রীস্টের জন্মের ২৫০বছর পূর্বে মধ্য ফেব্র“য়ারি
(১৩থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি) ‘লুপারকেলিয়া’ (Lupercalia) উৎসব পালন করত। তারা জন্মের দেবতা, মৃত্যুর দেবতা,মেষপালের দেবতা, মেঘের দেবতা, প্রেমের দেবতা,আলোর দেবতা, অন্ধকারের দেবতা, বৃক্ষের দেবতা, পানির দেবতা ইত্যাদি অসংখ্য দেবতায় বিশ্বাস করত। এসব কাল্পনিক দেবতাকে তারা বিভিন্ন নামে ডাকত ও তাদের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য পুজা-অর্চনা ও উৎসব পালন করত।প্রাচীন
রোমানদের একটি দেবতার নাম ছিল ‘লুপারকাস (Lupercus)। তাদের বিশ্বাস ছিল দেবতা ‘লুপারকাস’ তাদের মেষপালকে নেকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করে থাকে।তাদের মেষপালের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে জন্য তারা দেবতা ‘লুপারকাস’ এর সম্মানে উক্ত
‘লুপারকেলিয়া’উৎসবের আয়োজন করত। এ উৎসবের
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে প্রধান ছিল লুপারকাস দেবতার উপাসনা। এ উৎসবে তারা আরেক দেবতা ‘কিউপিড (Cupid) এর আশীর্বাদ কামনা করতো। ‘কিউপিড (Cupid) সম্পর্কে Advanced
Oxford Learners’তে লেখা হয়েছে:Cupid: The RomanGod of Love, Cupid: a picture or statue of a beautiful boy with wings, a bow and arrows represents love.এরূপ বিশ্বাস করা হত যে, দেবতা কিউপিড ভালবাসার অনুভূতি জাগ্রত করার জন্য যাদুকরী তীর ব্যবহার করে থাকে। এ তীর নারী-পুরুষের হৃদয়ে প্রেম জাগ্রত করে। সে বিশ্বাসের সূত্র ধরে আজও ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন 'ভ্যালেন্টাইন্স ডে কার্ডে Cupid এর প্রতীক ব্যবহার করা হয়। ‘লুপারকেলিয়া’ উৎসবের
আরেকটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি ছিল, প্রেমের দেবী জুনু ফেব্রুয়াটা (Juno Februata) এর আশীর্বাদ কামনায় যুবকদের মধ্যে যুবতীদের বণ্টনের জন্য লটারীর আয়োজন।তারা যুবতী মেয়েদের নাম লিখে একটি বাক্সে রাখত এবং যুবকেরা এসে বাক্স থেকে নাম তুলতো। লটারীতে যে যুবকের হাতে যে যুবতীর নাম উঠে আসত তাকে সে যুবকের সাথে পরবর্তী এক বছর লিভিং টুগেদার করতে হত। এভাবে ‘লুপাকেলিয়া’ উৎসবে যুবকদের মাঝে যুবতীদের বন্টন করে দেয়া হত। তারা বিশ্বাস করত, প্রেমের দেবীর আশীর্বাদে এসব যুগল ধন্য হবে এবংতারা ভবিষ্যতেসন্তান ধারণে সক্ষম হবে। এ ধরণের নানা কুসংস্কার ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লটারীর
মাধ্যমে যুবকদের মাঝে যুবতীদের বণ্টনের ঘৃণ্য রীতি ফ্রান্স সরকার ১৭৭৬ সালে নিষিদ্ধ করেছিল। ক্রমান্বয়ে এটি ইটালী,অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরী ও জার্মান থেকেও উঠে গিয়েছিল।ইংল্যান্ডেও এক
সময় এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে যেভাবে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেঃ
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আধুনিক সভ্যতার এ যুগে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ এর নামে প্রকারান্তরে প্রাচীন রোমানদের 'লুপারকেলিয়া’ উৎসবের অন্যতম কর্মসূচি প্রেমের দেব-দেবীর পুজা আবার শুরু হল কিভাবে? তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে,সর্বপ্রথম ইস্টার এ হল্যান্ড নামক একটি কার্ড বিক্রেতা কোম্পানী ‘What else Valentine’ নামে বাণিজ্যিক ভাবে আমেরিকান 'ভ্যালেন্টাইন্স ডে কার্ড’ তৈরী করে এবং প্রথম বছরই ৫০০০ডলারের কার্ড বিক্রি হয়।উল্লেখ্য,
সে যুগে ৫০০০ হাজার ডলার বিক্রি হওয়া ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা।পরবর্তীতে সুযোগসন্ধানী মিডিয়া কোম্পানীর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ ফুলে-ফেঁপে ওঠে। সুযোগসন্ধানী নীতিহীন
ব্যবসায়ী ও সস্তা জনপ্রিয়তাকামী একশ্রেণীর মিডিয়া ২৫০০ বছরের পুরনো লটারীর মাধ্যমে যুবকদের মাঝে যুবতীদের বণ্টনের মত
একটি ঘৃণ্য রীতিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে‘ এর মোড়কে প্রেমিক-প্রেমিক প্রেমিকাদের উৎসবে পরিণত করেছে।
শেষ কথা-
‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ সম্পর্কিত এসব অজানা তথ্য জানার পরও
ইসলাম ধর্মের অনুসারী বাংলাদেশী ঐতিহ্যে লালিত কিংবা অন্য ধর্ম অনুসারী কিংবা বাঙ্গালী কোন নারী কিংবা পুরুষ কি এইদিনে তার প্রিয়জন থেকে কোন চিরকুট, প্রেমপত্র, লাল গোলাপ, ভ্যালেন্টাইন্স ডে কার্ড বা কোন উপহার পাওয়ার অপেক্ষায় থাকবে?
কিংবা এ দিনে তথাকথিত ভালবাসা বিনিময়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবে?
তবে তা জেনে শুনে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক মূল্যবোধ ও নিজ দেশের মাটি ও মানুষের সংস্কৃতি বিসর্জন দিয়ে আত্ম-বিস্মৃতির চরম দেউলিয়াপনা ছাড়া আর কি হতে পারে?
মহান স্রষ্টা আমাদের ভুল পথের পরিত্রাতা হোন।