' তুরাগ ' বাংলাদেশের একটি নদীর নাম।
আসরের একটি কবিতায় ( তুরাগ নদীর তীরে) কবি জনাব রুহুলআমিন হৃদয়, এই নদীটিকে কহর দরিয়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কহর দরিয়া তুুরাগ নদীর পূর্ব নাম বলে মন্তব্যের প্রত্যুত্তর জানিয়েছেন,
আমার কাছে তথ্যটি অসমর্থিত মনে হলো, কবির নিকট ও জানতে চেয়েছি, এখনো উত্তর পাইনি।এই সম্পর্কিত কোন তথ্য যা কবির বক্তব্যকে সমর্থন করে অথবা তুরাগ নদী সম্পর্কে অন্য কারো বেশি জানা থাকলে ও সংযুক্ত করতে পারেন।
নতুন কিছু জানার আগ্রহে লিখলাম,আশা করি চিন্তাশীল দৃষ্টিতে দেখবেন, কিছু নতুন তথ্য জেনে সমৃদ্ধ হতে দোষ কোথায়!
আসুন, চিন্তাশীল আগ্রহী মনে আলোচনা করি,
তুরাগ নদী সম্পর্কে তথ্যনির্ভর সূত্র ও পঠিত বিভিন্ন উৎস হতে আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, তা হলো -
তুরাগ নদী (Turag River) লৌহজং নদী টাঙ্গাইল জেলায় তুরাগ নাম ধারণ করে। এটি বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীপ্রণালীর অন্তর্ভুক্ত। শুকনা মৌসুমে ক্ষীণকায় হয়ে পড়লেও তুরাগ একটি সক্রিয় নদী। যমুনা নদীর পলি অবক্ষেপ প্রায় সুদূর টঙ্গী খাল পর্যন্ত তুরাগের উপত্যকা জুড়ে রয়েছে। ১৯৫০ সালে আসাম ভূমিকম্পের পর থেকে এমনটা ঘটেছে। ঢাকার মিরপুরের কাছে এটি বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নিম্নাংশে নদীটিতে জোয়ারভাটার প্রভাব রয়েছে। সারা বছর এ নদী নৌকা চলাচলের উপযোগী। ময়মনসিংহ ট্রাঙ্ক রোডের দক্ষিণে সমগ্র তুরাগ উপত্যকা বোরো ধান চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ১৯৬৭ সাল থেকে এই নদীর তীরে প্রতিবছর ঐতিহাসিক বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
একসময় টলটলানো স্বচ্ছ পানির তুরাগ নদী
( জন্মসূত্রে ঢাকা শহর ও শহরতলী এবং পার্শ্ববর্তী অনেক নদীর মত তুরাগ নদী ও আমার স্মৃতিবিজড়িত , কাছ থেকে দেখা, নৌকা চালনা, সাঁতার কাটা, কোথাও মাছ ধরা)
আজ অন্যান্য নদীর মত, তুরাগ ও বিস্তৃত বিচিত্র কারখানা বর্জ্য ও দূষণের শিকার। অন্যান্য নদী ও নানা অত্যাচারে জর্জরিত, আমার আপনার দেখা অনেক নদী, খাল, বিল নিশ্চিহ্নপ্রায় এবং কোথাও নিশ্চিহ্ন হয়েই গেছে। মনে পড়ে যায় কত মধুর সেইসব উপভোগ্য সুন্দর ছবির মতো দৃশ্য।
কবিতার মত সুন্দর, ভাল থাকবেন সবাই, সুন্দর সাধনায়।
মোঃ রুহুলআমিন হৃদয় ভাইকে শুভেচ্ছা, উনার কবিতার সূত্র ধরে সামান্য কিছু লিখলাম। সামান্য কিছু হোক, কেউ না কেউ নতুন করে কিছু জানলো, একথা অন্ততপক্ষে হলফ করে বলতে পারি।
আমি ও জানার অপেক্ষায় রইলাম, কিংবা এইসব তথ্যে কোনপ্রকার ভুল থাকলে সংশোধন করার আশায়।