গোবিন্দ হালদার,
জন্মঃ ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ ইং
অবিভক্ত বাংলার ( বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ) জেলার বনগাঁ।
একজন মানুষের নাম, একজন কবির নাম, একজন গীতিকার এককথায় কিছু কালজয়ী গানের স্রষ্টা। নিরহংকার বিনয়ী এই মানুষটির সাথে সামনাসামনি দুইবার কথা বলার সুবাদে তাঁর প্রতি আমার হৃদয়ে জমে থাকা ভক্তি আরো কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল।
তাঁর মৃত্যু আমাকে শুধু শোকসন্তপ্ত করেনি, দীর্ঘ একটা শোকের স্মৃতিতাড়িত করে দিলো। সেই স্মৃতির বেদনা কিছু হাল্কা করতে এলোমেলো কয়েকটিমাত্র লাইন তার প্রতি উৎসর্গ করলাম।
আসরে প্রকাশিত ' কালজয়ী এক কবির মৃত্যু ' কবিতাটি পড়ে দেখতে পারেন। বিনীত আমন্ত্রণ রইলো। কেউ নতুন কিছু জানলেন, নাহয় পুরনো জানা বোধটুকু আবার একবার গোবিন্দ হালদার সমীপে শ্রদ্ধাবোধে প্রকাশিত হইলো।
‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ কিংবা ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’র মতো মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা দায়ী বহু গানের রচয়িতা গোবিন্দ হালদার আর নেই। গতকাল ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ইং সকালে কলকাতার মানিকতলার জিতেন্দ্রনাথ রায় হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
স্বাধীন বাংলা বেতারে গীতিকার ও সুরকার গোবিন্দ হালদারের অনেক গান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করে।
‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ কালজয়ী এই গান ছাড়াও ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ ‘হুঁশিয়ার হুঁশিয়ার’র মতো সাড়া জাগানো কালজয়ী অসংখ্য গান রচনা করেন গোবিন্দ হালদার।
কিংবদন্তি গীতিকার গোবিন্দ হালদারের পরলোকগমনে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার দেশাত্মবোধক গান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখ লাখ বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিল।তার লেখা গান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। তার মৃত্যুতে জাতি একজন প্রকৃত বন্ধুকে হারাল। বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে তার মূল্যবান অবদানের কথা সবসময় স্মরণ করবে