||||||||........

খুউব রঙিন কথামালা সাজাতে গিয়ে;
তলাহীন একঝুড়ি কালিকলম নিয়ে বসি
- অভ্যাসী হয়ে যাই সময়ের তক্ষক!
ছিঁচ কাঁদুনে প্রেমের মহাশ্মশান ফুঁড়ে;
অন্ধ বন্দনায় আসে নাচুনে নন্দদুলাল,
জেগে থাকি বাজারগরম পাঁচকড়ি!
ব্যামোধরা বর্ণমালায় পচন রুখতে
- বচন কবিরাজের পথে রোমিও কাঙাল,
বেতালা লোলচর্মের কাটা লেজ নাড়ি |

একরাজ্য নৈরাজ্য চাপিয়ে দিয়ে;
কাগজ মঙ্গার দিনে মগজের ঠোঙ্গা ছুঁড়ে
- বাইশ আঙুলে চুষতে থাকি সংক্রমণ!
কল্পতরু ডালে বসিয়ে বিলুপ্ত হুতোম;
গীতিগদ্যে খসাই নতির নৈবেদ্য,
শব্দমালার খেলো প্যাঁচালের ঝাল!
বদহজমের প্রবুদ্ধ মতির বুদবুদ ভাসে;
- টুপ করে গিলে হাঘরে হাঙর পাল,
বদ্যি ওঝা হাসে যতো হাভাতে আনাড়ি |  

কবন্ধ শিরায় জুড়ি স্কন্ধ পুরাণ ভার;
ছত্রিশহাজার পাণ্ডুলিপি সাইত্রিশহাজার দ্বন্ধ,
- আঁধা পত্রলিপি পড়ে অভুক্ত ভক্তকূল!
নরম সুরের চরম খঞ্জনি বাজিয়ে;
পুরাতন শিশি'র অবিভক্ত ছিপি খুলে  
জটাচুলে উকুন বাছে গুটিকয় সাঙ্গাত!
মাথা পেতে রাখি এলিয়ে মেধা ভাড়
- আহা! বড়ো আরাম আরাম লাগে,
দারুণ রবির ছায়া পরম কাছাকাছি |

কুখাদ্যের পরিপাকে অশুদ্ধ বমন;
ভাষাদেহে বাসা বাঁধে রূদ্ধ আমাশয় রোগ,
- ইচ্ছের গলাকাটা আবেগেই ভাসি!
পাপ না প্রবণতা প্রভাব না স্বভাব;
লজ্জার মাথামুণ্ডু তা-ই খেয়েই বাঁচি,
লিখতে থাকি বিরহবিষণ্ণ ভণ্ড বিষাদ!
মজ্জা ও মননের দুয়ার এঁটে দিয়ে,
- শিখতে এবং শিখাতে থাকি দুর্ভোগ,  
খাওন বাঁচন মাখা গণ্ড কুঁদন নাচানাচি ||

___________________
<> ©আগুন নদী, হ্যানয় ২০২৪ <>