♦
বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারের এক মায়ের কথা;
আশ্রিত সীমানায় অনেক আহাজারি আছে
সেখান থেকে যৎসামান্য ( মূল হতে সংক্ষেপিত)
..........
সবকিছু ঠিকঠাক সময় আসন্ন
নিরাপদ নড়নচড়ন বোঝা যাচ্ছিল ঠিক
যদিও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা একেবারে শূন্য
শ্বাপদসমাকীর্ণ ভেবে হায় ভিজেছে অবগুণ্ঠন
ধানক্ষেত বসতবাড়ি দোকান বাগান
কী আর পুড়েনি অহিংসের দল!
ছুটেছে মানুষ সঙ্গে পশুদল দিগ্বিদিক
আগুন দিয়েছে,হত্যা করেছে,সম্ভ্রম ও লুণ্ঠন
জীবহিংসা জীবহত্যা পাপ নাকি পুণ্য
মহামতি মহাজন ঠিক করে দিক
বাঁচে না প্রাণ; কীসের ধান কীইবা নবান্ন
গত বরিষায় ও এসেছিল একজন
এবার অঘ্রানে আবার নতুন মানিক
ওখানে প্রস্তুতি বলে তেমন কিছু লাগে না!
শুধুমাত্র অপেক্ষিত জনয়িত্রী
প্রাপ্তিযোগ্য আনন্দে তৈলাক্ত হাসিমুখ।
শক্তসমর্থ শরীর বললে ভুল হবে
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ, কী আর বিপত্তি
উৎপাদনশীল আদর্শ বলা যায়
যেহেতু সম্মানিত পিতাগণের
সবধরণের নিরোধে ভীষণ আপত্তি
সেহেতু কর্ষিত কলেবর ধারণযোগ্য হয়
ফি বছর নিয়মিত এই গ্রহণযোগ্য সুখ
চূড়ান্ত বেদনা প্রকট হচ্ছিল একটু ধীরে
লেলিহান আগুন বেড়েছে উঠোন ঘিরে
নেভাতে গিয়ে বৃদ্ধ শ্বশুর গেলো মরিয়া
চোখের অদূরে অঙ্গার হইলো
ঘুমন্ত সোয়ামি আর দুনিটা মরদপোয়া
তারপর তিন দিন চার রাত
পাহাড়ি পথ বেয়ে ছাল চামড়া গিয়েছে কেটে
ঊরুসন্ধির মাংস ছিঁড়ে রক্ত পড়ছিল লাগাতার
কী খাইনি? কী খেয়েছি সবি বরাত;
নিজেকে টেনে নিতে যেন পারছিলামনা আর
ছাপ্পান্ন মাইল হেঁটে গোড়ালি গিয়েছে ফেটে
চূড়ান্ত বেদনা শেষে উঠেছে প্রকট
জিরো পয়েন্ট পেরিয়ে যে নদীর পাড়
সেখানকার কাউকে মনে নেই আমার।
সব হারিয়েছি আমার দুঃখ অশেষ
বুকের মানিক পেয়েছে তো নতুন ঠিকানা
এই যে আমার কোল জুড়ে হাসছে খেলছে
জানেন? তার নাম রেখেছি 'বাংলাদেশ' ||
.... গল্প নয় সত্যি -১ ---- ©