.........
<>


তবে আর কথা বলে লাভ কী!
যে কথা একটিও হৃদয় দেয় না নাড়া,
যেখানে বধির সভা গোঁয়ার সমাবেশ,
    কম শোনা বেশি বলা বাচাল!
    গ্রন্থের লেখা যারা গ্রন্থিতে গাঁথে না,
    গ্রন্থিত করে দেয় মনগড়া কাল!
শ্রোতা নয় ওরা খরস্রোতা তীরহারা,
ভানের পারদ মাখা ঘোলা আয়না!
নিজমগ্ন প্ররোচক নিমজ্জ ধী
- কিছুই দেখে না চোখে স্বীয়মুখ ছাড়া |

জৈবন নদীটির মৌবন পাড়ে;
ফুটন্ত কথার খই ফুটছে যতো,
জবান জবাই করে শপথের গলাটিপে!
    নিছক বাঁচন লোভে ছলনার ঠাঁই;
    নিজেকে বানিয়ে ভাঁড় খল প্রতারক,
    অযথা ঠকের দাহে উত্তাপহীন!  
উনুনের কয়লায় কানুনের ছাই হয়ে;
কথার ওজন ছাড়া কুপথের ধাপে,
বৃথা যারা নিয়োজিত শুধু মুখ নাড়ে
- শবাধারে বসে পুঁথি পাঠে রত ||

তাদের এড়িয়ে যেতে সুপ্ত মৌনব্রত,
এরচেয়ে চুপ থাকো চুপকথা বেশ!
নীরবে আকাশ রবি পৃথিবীরে আঁকো;
    গুপ্ত ব্যথার ক্ষতে উপশম হেতু,
    প্রয়োজনে বোবা হয়ে যাও!
    কথার কদর্য প্রথা বানোয়াট সেতু,
এইসব বিভ্রাট শঠ ছেড়ে দাও!
সশঙ্ক পারাপারে গড়ো নিশঙ্ক সাঁকো,
একটা জীবন করো বাহুল্য বর্জিত
- কিছু কথা রেখে যাও শুদ্ধ আবেশ ||

___<<>©আগুন নদী©<>>___