লাশের খাটিয়া পরে আছে মোর উঠোনকোনে
উঠোনকোনে বড্ড লোকের ভীর।
দাদী যে আমার শুয়ে আছে আজ দু-চোখ বুজে,
দু-চোখ জুড়ে চিরনিদ্রার নীড়।
দাদী মা আমার শুয়ে আছে কেন সাঝের বেলা??
সাঝের বেলায় নামাজ পরত সে,
ভরা মাঠে গিয়ে বাধিত আমার প্রানের খেলা।
আজ মুখখানি হয়ে আছে ফ্যাকাশে।
আজকে মানুষ জোৎনা বলে আর ডাকে না,
ডাকছে লাশের বাড়ী।
দাদী মা আমার এসেছিল বলে ঐ গাড়ীতে,
তা হলো লাশের গাড়ী।
কি যে ছিল মোর আগের দাদীর করণ জুড়ে,
করণ জুড়ে কি বা এখন আর নেই।
যার লাগি লাশ বলছে সবাই,মোর দাদীরে,
শুয়ে আছে দাদী লাশের খাটিয়াতেই।
কিসের কারনে কাঁদছে সবাই দাদীর পাশে,
কাটছে না কেন ঘুম?
আজকে হঠাৎ এত মানুষ আসছে কেন?
দাদীকে দেখেই যাচ্ছে হয়ে নিঝুম।।
ঘুমন্ত মোর সোনার দাদীরে নিচ্ছে গোসলঘরে,
কারণ খুজে না পাই,
দাদী তো আমার করতো গোসল পুকুরপাড়ে,
আমরা যেতাম সবাই।।
আজ কেন দাদী সবকিছুতেই একা একা?
সবার চাইতে ভীন্ন?
দাদী তো আমার হাটতেই পারে নিজের মতো,
খাটিয়া কিসের জন্য?
অন্ধকারে ঝোপের দিকে,দাদী কে যাচ্ছে নিয়ে,
সবাই তাহার পিছু,
দাদী তো আমায় দেয়নি কখনো ঐ ঝোপে যেতে,
এখন নিজেই যাচ্ছে মিছু।।
দাদীর খাটিয়া থামলো একটি ছোট্ট কুটিরে,
এখানে থাকবে দাদী?
দরজা-জানালা নেই কিছু এই অন্ধকারে,
দক্ষিনা বাতাস আসবে কিভাবে বিধি??
দাদীতো আমার ভয় পেতো খুব একলা ঘরে,
আমি থাকতাম সাথে,
এখন খুবই অল্প জায়গা দাদীর কুটিরে,
থাকবো কিভাবে রাতে??
দাদীকে তাহার ছোট্ট কুটিরে রাখলো বটে,
মাটি চাপা দিলো সবে,
আমি শুধু একা দাড়িয়ে রয়েছি প্রাচীরতটে,
মাটি দিব কিভাবে??
হঠাৎ দেখি চোখের কোণে জলের দাবি-
ঝরতে হবে আজ।
তোমাদের প্রিয় লক্ষী দাদীমা আসবেনা কভূ,
সাজবেনা কোনো সাজ।।
সবাই দাদীর কুটির ছেড়ে ফিরলো ঘরে,
মসজিদে খাটিয়া,,
চিন্তা করছি বসে থেকে আমি অন্ধকারে,
চলে গেল দাদী সবকিছু রাখিয়া।।।