দিন চলে গেছে দিন চলেই যায়
অবুঝ মন তবুও পেতে চায় পাওয়ার অধিক, সে দিয়েছে অনেক
যা পাওয়া উচিত তাও দিয়েছে, যা পাওয়া উচিত নয় তা-ও
তবুও সংবৃতার দু’চোখ ভিজে থাকে, ভিজে থাকে প্লাবণ-জলে
সংবৃতা ভাবতে পারে না, ভাবতে চায় না যা পেয়েছে তা
পাওয়ার কোন অধিকার নেই ওর। অন্যের অধিকার ছিনিয়ে
নিয়ে বসবাস করেছে অন্যের বাড়ির আঙিনায়, জবর-দখল
নিয়েছে অন্যের ফুল-বাগান, জলের পুকুর, অন্যের পত্র-পুষ্প
ছাওয়া কুঞ্জকানন।
সংবৃতা উদাস ভাবে,
চব্বিশ বছর একসঙ্গে তবে চব্বিশটা সুতাও কেন ওর হয়ে নেই
সবাই ঘিরে আছে ওকে, ঘিরে থাকে সবাই আবার নেই কেউ।
ঘরের বাতি বন্ধ, বন্ধ ঘরের কপাট, দরজার বাইরে ফুলের পাপড়ি
বিস্তৃত সুখের প্রতিমা হয়ে পড়ে আছে। বেদনার নীল জল তড়পায়
বুকের ভেতর, সবুজ হাওয়ায় কাঁপে পুষ্প-প্রদীপের ঝালর।
অন্ধ রাত। রাতের আকাশে ওড়ে জীবনানন্দের চিল, নাচে রবীন্দ্রনাথ
নজরুল, অচিন্ত্য, অমিয়, বীরেন্দ্র, পূর্ণেন্দু, তারাপদ, সুফিয়া, নীলিমা
সংবৃতা চোখে লাগায় নয়নতারা, জীবনের গিঁট জোড়া লাগে না তবুও।