চলে যাও তুমি তোমার সময় মতো
বয়সি মন আমার নিঃস্ব আর শূন্য হয়ে যায়
তোমার পায়ের শব্দের সঙ্গে
ছায়া হয়ে চলে আমার পায়ের শব্দ
একত্র চলি, কিন্তু থামাতে পারি না
আমার পা তোমার দরোজায়
অনেক অনেক দিন আগে
যখন রূপকথার সময়ে ছিলো জীবন
তখন যেমন বে-চায়েন হতো মন
এখনও তেমনি, রদবদল হয়নি একটুও
পাওয়ার তৃষ্ণা তাড়িয়ে বেড়ায় অহরহ
মনে পড়ে নজরুল-
‘বলেছিলে, তুমি তীর্থে আসিবে
আমারও তনুর তীরে’-
ঠিক সেইসময় বাগড়া দেয় সুনীল,
বলে, ‘কেউ কথা রাখে নি’---
কথা একেবারে রাখনি বললে ভুল হবে
রেখেছো আংশিক, কথা রাখার মাঝে
থেকে গেছে বেহুলার বাসরঘরের ফাঁক
কারণ
সতেরো রকম ঝামেলা আর জীবনের টানা-
পোড়েন, কথা রাখা হয় না দু’জনের কারই
শুধুই ইথারে ইথারে ভেসে থাকে
কথা রাখার এবং কথা পাওয়ার কাঙালপনা-
রাগ-গোসা, অভিমান, কথাবন্ধ কতোকিছু...
মাঝে-মধ্যে ভাবি, কথা রাখি, আমার পায়ের
শব্দ থামিয়ে দেই তোমার দোর-গোড়ায়
কিন্তু হয় না, থামে না, পারি না থামাতে
পায়ের শব্দ আমার লক্ষ কোটি বছর শুধু
পার হয়ে যায়, পার হয়ে যায় তোমার দরোজা
জ্যোতিষশাস্ত্র বলে-
মানুষ নব্বই থেকে ছিয়ানব্বই ভাগ নিজের ভাগ্য
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নিজেই
কিন্তু কই, কোথায় ?!
চেষ্টার তো ত্রুটি করিনি কখনও, করিও না
তবুও তো থামতে পারি না তোমার দোর-গোড়ায়
আমার নিঃশব্দ পা