১.

সন্ধ্যার একটুকরা আকাশ, আকাশের তলে লালকৃষ্ণচূড়া
সে-দিকে তাকিয়ে র’-এর কথা ভাবছে সংবৃতা

ওর মনে হয়-
র’ খুব ভালো বুঝে ওকে, কিন্তু আসলে তা নয়।
র’ বুঝতেই পারে না ওকে। ওকে বুঝার শক্তি হারিয়ে  ফেলেছে র’।

র’  আজ দূর আকাশের তারার মতো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে
নাগাল পাওয়া ভার। অথচ র’ এর একটু কথা, একটু হাসি, একটু ছোঁয়াতে
সংবৃতার চারপাশে বাগান তৈরি হয়, সেখানে ফুটফুট ফোটে লাল-নীল-হলুদ
নানা বর্ণের নানা গন্ধের ফুল, পাখি আসে, আসে প্রজাপতি, ফড়িং নানান রঙের

সংবৃতার চারপাশে ভীড় করে শৈশব, কৈশোর, আর লালিত্য তারুণ্য।

সংবৃতা ডাকে চুপিচুপি এসো র’ এসো ভালোবাসার গহীন ভিতরে এসো
এক্কা-দোক্কা খেলি, খেলি চি-বুড়ি, দাঁড়িয়াবান্ধা। র’ আসে না।

সংবৃতা, কাঁচ ভাঙা শব্দে ছড়িয়ে যায় টুকরো টুকরো হয়ে।

২.

চব্বিশ বছরের সংসার-জীবনে ওরা কেউ কারো নয়।
তবুও
ওদের চারপাশে জন্মেছে সবুজ ঘাস, তৈরি হয়েছে বহতা ঝরনা।

অনেকদিন
ওরা কাছাকাছি হয়নি, অভিমান আজ চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ওদের মাঝে।

ওরা, আজ কবিতা পড়ে না, গল্প করে না, ছবি আঁকে না।

সবুজ ঘাস আজ হলুদ, ঝরনায় নেই সেই বহতা গতি