সিটি কর্পোরেশনের বৃক্ষ সজ্জাসহ
দ্বি-খন্ডিত হয়ে চিকন লম্বা যে রাস্তা
দূর হতে দূরে বহুদূরে চলে গেছে...

ঘরের জালনা থেকে মানুষ-গাড়ি-রিকশা
চলাচল দেখি আর ভাবি-
ওই রাস্তাটা আমার জন্য
তোমার দোর-গোড়ায় থামে না কখনও

কেন থামে না জানতে চেষ্টা করছি

ঠিক সেই মুহূর্তে মোবাইল
শব্দগুলো এসে থামলো হৃদয়ের দরজায়
যে দরজার কারুকাজ করেছ নিজের হাতে
সাজিয়েছ টুনি বাল্ব
সারাক্ষণ জ্বলছে-নিভছে টিপটিপ, যার
সুইচটা  রয়েছে তোমার হাতে

ওই দরজাটার আগল দিয়েছি  নিজেই
ভেতরের কথা তো জানে না কেউ
জানার অধিকারও নেই, দেইনি কাউকে
দেইনি প্রবেশের অধিকার
এক তুমিই পারো চরণ ছোঁয়াতে সেখানে
অবশ্য ভেতরে ঢোকার দায়-দায়িত্ব
তোমার হাতেও নেই এখন, এ-আমার একান্ত
নিজস্ব

ওই যে রাস্তার গালগল্প করলাম
সেটা এখন একটু বৃষ্টিতেই খলবলানো ঝিল
তারপর ! জল সরতেই এবরো-খেবরো গর্ত
সিটি কর্পোরেশন প্রায়ই পিচে মুড়ে দেয় সেটাকে
পিচেমোড়া সেই রাস্তাটায় পা দিয়েছি অনেকদিন
পা দিয়েছি তোমার দরজায় থামবো বলে
কিন্তু থেমেই দেখি এটা তো আরাধ্য নম্বর নয়
অন্য নম্বর !

আবার চলি, চলি, চলি আর চলি।

চলতে চলতে দেখা অনেক মানুষের সঙ্গে
যারা সাতে-পাঁচে নেই কারো
চলতে চলতে দেখা অনেক সাপের সঙ্গে
যেগুলো ফণা তুলে আছে সারাক্ষণ
চলতে চলতে দেখা হাস্যমুখ বাঁদরের সঙ্গে
আনন্দ দিয়ে যে ক্ষয় করে চলেছে জীবন
চলতে চলতে দেখা হয় লজ্জাবতীলতার সঙ্গে
যার ঘর-সংসার স্বামী-সন্তান ছাড়া প্রিয় নেই কিছুই
চলতে চলতে দেখা অনেক কবি-লেখকের সঙ্গে
যাদের হাতের আঙুলে কোন কলম নেই
পকেটে নেই আঁকিবুকি কাগজ

গল্প-কবিতাগুলো এখন ই-মেইলে

এখন শুধু ধর্না দেওয়া কাগজের অফিসে অফিসে
শুধুই লবিং, শুধুই দেওয়া-নেওয়া

তাড়া নেই,
দেখি সব !

থামি না, গল্পেও মজি না শুধুই চলি, চলি আর চলি !
তোমার দোর-গোড়াতে থামবো বলে

চিকন লম্বা দ্বি-খান্ডত রাস্তাটা আমাকে
কবে কখন আমার আরাধ্য নম্বর-
তোমার দোর-গোড়াতে পৌঁছে দেবে, জানি না ...