নৃপকুলের মহামুকুট যাচ্ছে হেটে আরব দুলাল,
ইন্দুকলা মুখ লুকালো, ম্লান হলো স্বচ্ছ প্রবাল,
ভোরের হাওয়ায় আসছে যখন তাহার সুবাস।
স্নিগ্ধ হলো আমার হৃদয়,ভস্ম হলো কস্তরী বাস,
মত্ত আমি ধরার তলে, পিয়বো আমি তাহার লালা,
গাইবো আমি তাহার পানে, ছিড়বো মোর কণ্ঠমালা
ঝকঝকে ঐ চকচকে তার ইয়েমেনি চাদরখানি,
নিখিলধরা তুচ্ছ হলো, গাইলো আমার কন্ঠমণি।
তাহার ঐ কুঞ্চিত কেশ লাগছে যে ভাই রত্নসম
কৃষ্ণ নয়ন তৃষ্ণা মেটায়, চাহনি তাহার পান্নাসম
কাজলকালো তার ভ্রুতে আছে ভাই মধুর ছোয়া
কণ্ঠ তাহার মিষ্টিমুধুর, মায়াবী ঐ তাহার চাওয়া।
রাজবালা আর দিকবালা ভাই ভস্ম হলো চাঁদমালা
হৃদবীণে মোর ঝড় উঠেছে, তোরা সবাই ধূপজ্বালা
মধুমন্তি শুনছি আমি, আজকে যে ভাই পৌর্ণমাসী
শুনছি আমি তাহার স্তব,সবার সেরা মোর প্রেয়সী
খঞ্জনের ঐ গুঞ্জনে ভাই রঞ্জনিলো প্রাণভ্রোমরা,
ফেরেশতাকুল সব পালালো, ধন্য হলো বসুন্ধরা।
যাচ্ছে হেঁটে দৃপ্ত পায়ে, সবার সেরা মরুর দুলাল
মৃত্তিকা আজ ধন্য হলো,হাসলো ঐ গোলাপ লাল
দেখ চাহিয়ে তাহার হাসি , তার হাসিতে মুক্তাঝরে
রক্তকমল দুল দিয়ে যায়,উল্কাকণা উছলে পড়ে।
রাত্রি আঁধার ঝড়ো হাওয়া সাগর বুকে উর্মী নাচে
ভ্রষ্টহৃদয় হলো সদয়,ঋদ্ধ হলো তাহার আঁচে।
দেখছি যবে তাহার ঐ দীঘল আঁখি , উজল তনু
ফু্ল্ল হৃদয় জ্বাললো আলো, ম্লান হলো ইন্দ্রধনু
হাস্য বদন, পরীর মতন, শশ্রু তাহার ঘনকালো
সেই সে নবী সবার সেরা, সবকিছু যে তাহার ভালো
রৌপ্যসম শুভ্র যে ভাই, গ্রীবা তাহার মোতির গ্রীবা
সুষম দেহের আলোকশোভায় পাচ্ছি খুঁজে নবপ্রভা
বক্ষসম উদর তাহার, ইস্পাত কঠিন মাংসপেশী
ধন্য হবে আমার পরাণ,করবো আমি কদমবুসি।
মহাকালের মহারবি মহামতি মহাবীর মহানবী
মহাকাশের মহাতীরে মহারবে তাহার ঐ মহাছবি।