যখন একটি পাখি এর রক্ত ভূমিতে পতিত হয়
তখন  শুনতে পাই হাজারো পাখির আর্তনাদ  আর  চিত্কার
তখন শুনতে পাই এক ঝাক নর পাষণ্ড এর রাইফেল থেকে   গুলির শব্দ
আর অনুভব করতে পারি ঐ পাখির হৃত্পিন্ড রক্তাক্ত হওয়ার ব্যাথা

যখন একটি পাখির রক্ত ভূমিতে পতিত হয়
তখন সৃষ্টি হয় হাজারো পাখির  অনাথ  হওয়ার গল্প
সৃষ্টি হয় হাজারো পাখির   আশ্রয়হীনতার গল্প  
আর ধ্বনিত হয় হাজারো পাখির বাবা মাকে খুঁজে না পাওয়ার  আতংকের চিত্কার

এই  হাজারো পাখির  আর্তনাদ   আর অনাথ হওয়ার গল্প তখন শেষ হয় যখন প্রকৃতি মা তার সন্তানের হত্যার প্রতিশোধ নেয়
কে এই প্রকৃতি মা?  
এই প্রকৃতি মা হলো সে  যে তার সন্তানের হত্যার প্রতিশোধ নিতে পিছ পা হয় না ,
এই হলো প্রকৃতি মা যে সন্তানের হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুদ্ধ ঘোষণা দেয় মানুষের সমাজের বিরুদ্ধে ,
এই হলো সেই প্রকৃতি মা যে তার পরিবার নিয়ে সন্তানের হত্যার প্রতিশোধ নেয়
হয়তোবা সাইক্লোন থেকে ঘূর্ণিঝড় বা  আম্পান রূপে বা হয়তো বন্যা থেকে জলোচ্ছ্বাস হয়ে, বা হতে পারে মেঘ থেকে বৃষ্টি বা বন্যা
রূপে বা হয়তো বিদ্যুৎ থেকে বজ্রার মাধ্যমে
প্রকৃতি মা যে তার সন্তানের প্রতিশোধ নিতে ভূলে না
প্রকৃতি মা যে তার প্রতিঙ্গা পূরণে অপ্রতিরোধ্য অদম্য
অবিনশ্বর  অদ্বিতীয়  
এই হলো সেই প্রকৃতি মা  যে না, তো  কোনো মানুষকে বা মানুষের সমাজ কে  ভয় পায়,
এই হলো সেই প্রকৃতি মা যে তার সন্তানের হ্ত্যার প্রতিশোধ  তার  আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
এই হলো সেই প্রকৃতি মা  
সে তার সন্তানের হত্যার শাস্তির দেয় নাতো সেটা কোনো মানুষের তৈরি ইট পাথরের  আদালত বরং সেটা হলো প্রকৃতির  আদালত
যেখানে বিচারক বা মান দণ্ডদাতা হিসেবে থাকেন প্রকৃতি মা যেখানে প্রসিকিউটর হিসেবে থাকেন  সেই গাছ যে তার শাখার এক ডালে   আশ্রয় দিয়েছিল এক ঝাক পাখির পরিবার কে
সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকে  সেই নদী যেখানে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় ঐ পাখি এসে পানি পান করতো,
উপস্থিত থাকে সেই মেঘ সেই বাতাস  আর সেই সব প্রকৃতির সদস্যরা যেখানে ঐ পাখি ঘুরতে যেত
আর  আসামী হয়ে উপস্থিত হতো মনুষ্য সমাজ।
  
আসলে এই প্রকৃতি মা হলো সে যে হলো এই প্রকৃতির  আসল রক্ষক ও দণ্ডদাতা,
হোক সে পশুপাখির  আদালত বা মানুষের,

আসল বিচারক হলো সেই প্রকৃতি মা যে তার সন্তানের হত্যার প্রতিশোধ নিতে পিছ পা হয় না।
এই হলো প্রকৃতি মা যার অস্তিত্ব  আমার চোখে নয় বরং অনুভবে পাই।