যখনই আমি তোমার কাছে লিখতে বসি চিঠি
মনে পড়ে তখনই তোমার কাজল কালো দিঠি।
        লিখতে বসি চিঠি।
চক্ষু দু’টি কাকন ফুল
দেখলে আমি হারাই কুল।
তোমার দু’টি আখি
বারে বারে চেয়ে দেখি।

আমার নয়ন মেলাই যখন তোমার নয়ন সনে
   এযে রড় দুষ্ট ছেলে ভাব তুমি মনে মনে।
   তোমার নয়ন সনে।
তুমি না থাকলে পাশে
আঁখি জলে বুক ভাসে।
হস্ত দু’টির পরশ পেলে
দুঃখ সবই যাইযে ভুলে।

তোমায় হেরে নয়ন জুড়ায়, জুড়ায় আমার প্রাণ
         গাইতে যদি নাও জানি তবুও গাই গান।
        জুড়ায় আমার প্রাণ।
তুমি আমার নয়নমনি
তুমি আমার হ্নদয় খুনি
তোমায় ছাড়া বুঝি না কিছু
তোমায় ছাড়া জীবন মিছু।

বাতাশে দোলে তোমার কৃষ্ণ কালো কেশ
তদ্দর্শনে প্রতিটি ক্ষণে ফুরায় না মোর আবেশ।
                              কৃষ্ণ কালো কেশ।
আবেশ ভেঙ্গে যায় যখন
শূন্য সবই; মিথ্যে স্বপন
চোখে শুধু তোমার ছবি
তুমি আমার নয়ন রবি।

চোখ বুঁজিলে দেখতে পাই তোমার মুখের হাসি
চোখ খুলিলে উধাও তুমি, কোন সে প্রবাসি।
                         তোমার মুখের হাসি।
হাসিতে তোমার মুক্তা ঝরে
মনের দহন দ্বিগুন বাড়ে
কেড়ে নেও মন প্রাণ
নিঃশ্বাসে পাই তব ঘ্রাণ।

ক্ষনে ক্ষনে প্রতিক্ষনে পড়  মনে অবিরাম
কত সুন্দর! কত মনোহর! তুমি নয়নাভিরাম।
                            পড় মনে অবিরাম।
তুমি ছাড়া এ জীবন
আঁধারে ঢাকা এ ভূবন
তুমি যে কাছে এলে
হ্নদয়ে স্বপ্ন দিলে।

কন্ঠে তোমার বীণার বাঁশি গাও কেন গান
আমি এলে কন্ঠ তোমার পায় কি অভিমান?
                              গাও কেন গান?
নীরব নিঝুম বিশ্ব
দেখায় করুন দৃশ্য
কন্ঠে তোল সুর
বল কেন দুর দুর।


তোমার রুপে হার মানবে ম্যাডনার মত রুপসী
বিমলিন রবে চিরকাল মনোলিসার মত হাসি।
                         ম্যাডনার মত রুপসী।
যেটুকু হেরেছি তব রুপের ঐশ্বর্য
ভুলা কভু নাহি যায় সেই সৌদর্য
চিরদিন চিরকাল রবে জীবনে
স্মৃতি তুমি স্মৃতি হয়ে দু’টি নয়নে।

রচনাকাল: ০৬.০৬.৯৪