মাধবীলতা,
তোমার নয়নে নয়ন রাখিতে পারিনা
ভয় লাগে যদি অগ্নি আঁখির অনলে পুড়ে দগ্ধ হই
নীল নয়নের নিগূঢ় ভাষার উষ্ণতায়
আমার ভেতরে বাহিরে গলতে থাকে
গভীর উত্তাপে গলনাংক ও স্ফুটনাংকের সৃষ্টি হয়।
মাধবীলতা,
তোমার লাউয়ের ডগার মত কোমল হাতে হাত রাখিতে পারিনা
যদি হাতের অপার সৌন্দর্যের ঝলকানিতে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হই
মনোহারিণী হাতের স্পর্শে আমার বুকের ভেতর তছনছ হযে যায়
আমার সাজানো স্বপ্নগুলো অবিন্যস্ত হয়ে পরে
মহা হৃদকম্পে চুরমার হয়ে যায় ঈপ্সিত বাসনা
মাধবীলতা,
ডালিমের রসালো কোয়ার মত তোমার ঠোঁটে, ঠোঁট মেলাতে সাহস করিনা
যদি সেই ঠোঁটের অলৌকিক মোহঘোরে হারিয়ে যাই
ঐ ঠোঁট যেন ঠোঁট নয়, এক রহস্যময় ইন্দ্রজাল
সিক্ত ঠোঁট এক অনুপম মাধুর্যের প্রমোদ উদ্যান
যেখানে মহাপুরুষ কাপুরুষ হয়ে যায় কোমল অধরের স্পর্শে।
চাঁদপুর
১০.১০২১