কাশ্মীরের কান্না

কাশ্মীরের কান্না
প্রকাশনা যৌথ সংকলন
প্রকাশনী নব সাহিত্য প্রকাশনী
সম্পাদক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম
প্রচ্ছদ শিল্পী শ ই মামুন
স্বত্ব সম্পাদক
প্রথম প্রকাশ নভেম্বর ২০২০
সর্বশেষ সংস্করণ ১ম
বিক্রয় মূল্য ১৮০

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা


গত ৫ আগস্ট,২০১৯ অনেকটা আকস্মিকভাবেই সেই বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির ঘোষণা দেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ লাদাখ অঞ্চলকে আলাদা করে ‘জম্মু-কাশ্মীর’ এবং ‘লাদাখ’ নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরই প্রেক্ষিতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কাশ্মীর সংকট। কবিরা তাঁদের মনের ইচ্ছ্রে প্রতিফলন ঘটিয়েছেন কবিতায়। যেকোন কবিতা প্রেমী মানুষ এই গ্রন্থ পাঠ করে কাশ্মীর সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
“কাশ্মীরের কান্না” কাব্যগ্রন্থে কাশ্মীর সংকটের সেই নিযার্সটুকুন তুলে ধরা হয়েছে।

ভূমিকা

বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘসময় ধরে চলা সংকট হল কাশ্মীর ইস্যু, যেটি নিয়ে এখন আরো অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে।কাশ্মীর এখন 'ভূস্বর্গ' থেকে 'মৃত্যু উপত্যকা' পরিনত হয়েছে। কাশ্মীর হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি এলাকা যেটিকে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই নিজেদের বলে দাবি করে।একসময় জম্মু ও কাশ্মীর হিসেবে পরিচিত রাজ্যটি ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে উপমহাদেশের স্বাধীনতা লাভের সময় ভারতের সাথে যুক্ত হয়। ব্রিটিশ শাসনের অধীন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সাথে যোগ দেয়া একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য ছিল কাশ্মীর; আর সংবিধানের বিধানটি ভারতের সাথে কাশ্মীরের আশঙ্কাজনক সম্পর্কের বিষয়টিরই একটি প্রতিফলন।
ভারত ও পাকিস্তান এই অঞ্চলের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে কয়েকবার যুদ্ধে জড়ালেও শেষপর্যন্ত দুই দেশই সেখানকার ভিন্ন ভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়। তিন দশক ধরে ভারত শাসিত অংশে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ ও বিদ্রোহের কারণে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ৩৭০ ধারা/ অনুচ্ছেদটি রাজ্যটিকে বিশেষ ধরণের স্বায়ত্বশাসন ভোগ করার অধিকার দেয়, যা রাজ্যটিকে নিজস্ব সংবিধান, আলাদা পতাকা এবং আইন তৈরি করার অনুমোদন দেয়। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বিষয়ক ব্যাপারের নিয়ন্ত্রণ থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। ফলস্বরুপ জম্মু ও কাশ্মীর নাগরিকত্ব, সম্পদের মালিকানা এবং মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত আইন নিজেরা তৈরি করার ক্ষমতা রাখতো।ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মানুষকে জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কেনা এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা থেকেও বিরত রাখতে পারতো ঐ অনুচ্ছেদের বদৌলতে।
গত ৫ আগস্ট,২০১৯ অনেকটা আকস্মিকভাবেই সেই বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির ঘোষণা দেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ লাদাখ অঞ্চলকে আলাদা করে ‘জম্মু-কাশ্মীর’ এবং ‘লাদাখ’ নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরই প্রেক্ষিতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কাশ্মীর সংকট। কবিরা তাঁদের মনের ইচ্ছ্রে প্রতিফলন ঘটিয়েছেন কবিতায়। যেকোন কবিতা প্রেমী মানুষ এই গ্রন্থ পাঠ করে কাশ্মীর সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
“কাশ্মীরের কান্না” কাব্যগ্রন্থে কাশ্মীর সংকটের সেই নিযার্সটুকুন তুলে ধরা হয়েছে। কতটুকু সফল হয়েছি তা বিচারের ভার পাঠকের উপর দিলাম। ভুলের উর্দ্ধে কেউ নয়। সময় স্বল্পতায় অনেক ভুল থাকতে পারে। যা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। যে সব গুনী কবি তাঁদের মূল্যবান কবিতা দিয়ে “কাশ্মীরের কান্না” কাব্যগ্রন্থটিকে সার্থক করে তুলেছেন তাঁদের প্রতি রইল রক্তিম শুভেচ্ছা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। বইটির পাঠক নন্দিত হবে এই প্রত্যাশা করছি।
সম্পাদক
মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম
(সম্পাদক, কবি,ছড়াকার,গীতিকার)

উৎসর্গ

যার কন্ঠে ধ্বনিত হয় প্রতিবাদের সুর, যে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করে না। সত্য ও সুন্দরের জন্য যার কর্ম প্রয়াস। যেকোন পরিস্থিতিতে যে নিজেকে সাবলীল ও শৈল্পিকভাবে উপস্থাপনের দক্ষতা রাখে, যার কাছে সর্ব শ্রেণির মানুষ আস্থা ও ভরসায় মন খুলে কথা বলে, আমার সেই প্রিয় মানুষ মোঃ ইসমাইল হোসেন বাবলু-কে “কাশ্মীরের কান্না” কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করলাম।

কবিতা

এখানে কাশ্মীরের কান্না বইয়ের ৩টি কবিতা পাবেন।

   
শিরোনাম মন্তব্য
আমি কাশ্মীরীদের কথা বলছি ১২
পরাধীন
লড়াই করো ১৪