তোমার দেহ সৌষ্ঠবে হাত রাখার অনুমতি চাই না
তোমার শাড়ির কুচি গোনার অনুমতি চাই
অনুমতির দেবে?
পরম যত্নে এক এক করে গোনে দেবো, তোমার শাড়ির প্রতিটি ভাঁজ
ভাঁজে ভাঁজে মিশিয়ে দেবো স্বর্গীয় সুখানুভূতি।
বিশ্বাসের নির্যাসটুকুন দিয়ে করবো তোমার হৃদয় সিঞ্চন।
তোমার মেঘবরণ চুল স্পর্শ করতে চাই না
তোমার লম্বা চুলের বেণীতে হলুদ গাঁদা বিঁধে দিতে চাই
অনুমতি দেবে?
পুষ্পরেণুর আচ্ছাদনে সাজিয়ে দেবো কেশ
ফুলের গন্ধে মাতিয়ে দেবো তোমার চারিপাশ
ঈর্ষার অনলে জ্বলে পুড়ে মরবে তোমার প্রতিযোগি।
তোমার সাথে জোছনার কোন তুলনা করতে চাই না
চাঁদ তোমার রুপের কিয়দংশ ধার করে চলে, সেই সত্যিটুকু জানাতে চাই
অনুমতি দেবে?
তোমার লাবণ্যের নিগুঢ় রহস্য উন্মোচিত হলে
মোনালিশা, ঐশ্বরিয়া, সব বিশ্ব সুন্দরীরা তোমাকে নতজানু হয়ে স্যালুট করবে
তুমি উর্বশী অপ্সরা, তোমার আগমনে চির বিদায় নেবে অন্ধকার শর্বরী।
তোমার জন্য অামি ইট-পাথরের তাজমহল বানাতে চাই না
কৃত্রিমতা, লৌকিকতা নয়, আন্তরিকতার সাথে ভালোবাসতে চাই
অনুমতি দেবে?
যা কিছু আমার; আমার আমিত্ব, সবই তোমার পদযুগলে করেছি সমর্পণ
আমার ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, মস্তিষ্কে নিউরনের স্বকীয়তা; আজ সবই তোমার নিয়ন্ত্রণে
শুধু অন্তরের অন্দরমহলে তোমার জন্য সঞ্চিত করেছি কিঞ্চিৎ প্রেম।
প্রতীক্ষার কঠিন প্রহর হাসিমুখে বরণ করে অপেক্ষায় থাকবো
বিরহের কঠিন অনলে পুড়ে পুড়ে নিজেকে অঙ্গার করবো
নির্গত অশ্রুতে ভিজে ভিজে, সলিল সমাধিতে বসে নেবো প্রেমর ঐশ্বরিক সুবাস
শুধু তোমার সঙ্গে সারাটি জীবন একঘরে কাটাবো বলে
দেবে অনুমতি ?