বুকের ভেতর ক্ষতের বুনন নিয়ে চলছি একাই,
তবুও দীর্ঘশ্বাস আর আসে না আমার।
শুধু অনাবৃত শোকের বুনো গন্ধে
কি এক নিঃসঙ্গ ব্যথায় কেঁপে কেঁপে উঠি রাত্রে।
স্মৃতির দাবানল থেকে ছিটকে আসে অনন্ত বুদবুদ –
নৈকট্যের আঁধারে চিলেকোঠার ঘরের
ছাপোষা ক্যালেন্ডারের ব্যথিত পাতার ল্যান্ডস্কেপ হয়ে যায়
বিশাল কাজল কালো চোখের মানবীরূপী এক দেবীর অবয়ব
যার হাতের তালুতে ঝলমল করছে নীলচে স্বপন।
হঠাৎ ছলকে ওঠা অর্থহীন ভাবনারাশি হঠাৎই
বুকের ফ্লাইওভার দিয়ে ছুটে চলে তীব্র গতিতে –
সেখানে নেই কোনো যানজট, অর্থহীন কোলাহল,
ভাবনার রাজপথের সিগন্যালে জ্বলে সবুজ সংকেত।
তাই চেতনার ব্ল্যাক মার্কেটে ভাবনা ব্যস্তসমস্ত হয়ে
খুঁজে ফেরে উদাসীন বিচ্ছেদের দ্বিতীয় সংস্করণ।
অলি তস্যগলি ঘুরে অবচেতন মনে হোক কিংবা যদি
ভুলে হোক তো ভুলেই ফিরে আসি সিঁড়ির গোঁড়াতেই।
মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিংয়ের প্রতিটি ব্যালকনি, প্রতিটি জানালায়
খুঁজে যাই সম্মোহনী দু’টি চোখের সেই দেবীকে
যে তৃষিত তিমিরে ফোঁটাতে পারে অন্ধকারের ফুল।
হে দীর্ঘশ্বাসের দেবী –
এ সময়ে আমার এ জীবনে তোমাকে যে ভীষণ প্রয়োজন।
তোমাকে যে কি ভীষণভাবে চাই
তা প্রতিটি নির্ঘুম জিপসি রাত জানে,
তোমাকে যে কি ভীষণভাবে চাই তা ভালোবাসা জানে।