অন্যরকম হতে পারতো এ কবিতাটা
যেমন এ জীবনটাও হতে পারতো অন্যরকম।
জীবনের মাঝপথে আসতে না আসতেই
না ফুরোতে পারতো সব চাওয়া-পাওয়া।
আজ আর কোনো কষ্টে কষ্ট পাই না,
কোনো সুখে সুখানুভূতি হয় না;
তাই চাওয়া পাওয়ারও কোনো প্রশ্ন আসে না -
শুধু ইচ্ছে করে জীবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে।
কোনো কারণ ছাড়াই যেন বেঁচে আছি, যেমন
কোনো কারণ ছাড়াই লিখে চলছি এ কবিতা।
আমাকে ছেড়ে গিয়ে ভালোই করেছো -
নিজে বেঁচেছো, হয়তো আমাকেও বাঁচিয়েছো।
যাকে দু'চোখে দেখতে পারতে না
তাকেই বিয়ে করে সংসারী হলে।
হায়! কি বিচিত্র এই দেশ, সত্যিই সেলুকাস।
তবুও তোমার প্রতি আজ আর
কোনো ক্ষোভ নেই, বিদ্বেষ নেই,
এমনকি নেই তোমাকে পাওয়ার ইচ্ছেটুকুও।
দেহের প্রত্যেকটি শিরা ধীরে ধীরে
নিস্তেজ হয়ে মনে হয় ভালোই হয়েছে,
অন্ততঃ কষ্টের অনুভূতিটুকু তো হারিয়েছে।
স্মৃতির ডানায় ভর করে সব সুখ যদি
ফিরে আসতো কিংবা সব কষ্টগুলো
যদি মুছে যেতো কোনো দুঃস্বপ্নের ঝড়ে -
তারপরও হয়তো এই অবশ, অনুভূতিহীন
হৃদয়ে সৃষ্টি হতো না বিন্দুমাত্র ভালোলাগার;
হয় না যেমন তোমাকে হারানোর কষ্টটুকু।
শুধু উদ্দেশ্যহীন, গন্তব্যহীন আমার
এই চলার পথে স্মৃতিবিজড়িত
কোনো জায়গা দেখলে মনে পড়ে -
আমারও কিছু স্বপ্ন ছিলো; এই শহরের
পথে-ঘাটে, পার্কে-ময়দানে, এখানে-ওখানে,
রিক্সায় কিংবা কোনো রেস্তোরাঁয় বসে দেখা।
আজ সেসব জায়গায় কোনো যুগল দেখলে
বোধহীন হয়ে তাকিয়ে থাকি;
আর বোধ ফিরলে শুধু দৌঁড়ে পালাতে
ইচ্ছে করে, সবার কাছ থেকে