আমি অসংখ্যবার মেতেছি শব্দ ভাংচুরের খেলায়,
চোখের সামনে জীবন্ত স্বপ্নিল স্বপ্নকে
খুন হতে যেতে দেখেছি নিঃসঙ্গ নির্জনতায়।
অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণে নীল হয়ে যাওয়া শরীরে
অমীমাংসিত দুর্যোগের রাত কাটিয়েছি দ্বিধাহীন -
তবু একফোঁটা আর্তনাদও জমেনি এ বুকে।
পকেটভর্তি সুখ নিয়ে ছুটে গিয়েছি চাঁদের কার্নিশ ধরে,
উড়ে বেড়িয়েছি বিস্তৃত ছায়াপথে,
যেতে যেতে পৌঁছে গিয়েছি সুখের চূড়ান্ত শেষ সীমানায়-
তবু এতোটুকুও উল্লাসিত হইনি কোনোদিন।
অথচ আজ তোমার ওড়নায় আর্তনাদে এঁকে যাই
মৃত আত্মার খুন হয়ে যাওয়া দীর্ঘশ্বাস।
মিথ্যে জ্যোৎস্নায় উল্লাসিত আমি চন্দ্রগ্রস্থ হয়ে বুনে যাই,
বুকের ভেতর শুধু বুনে যাই অস্থিরতার ছন্দ,
নতজানু হয়ে তোমারই ছায়ায় রচনা করি বিষাদের এপিটাফ।
তোমার এলো চুলে চাঁদকে ঢেকে ফেলে আমাকে আবার
বিধ্বংসী স্বপ্নের ঘুমন্ত উঠানের চৌকাঠে এনে
কেন দাঁড় করালে হে অনিশ্চয়তা !
নষ্ট আগুনে পুড়ে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবো - সেও ভালো,
তবু অনিশ্চয়তা নয়, নীরবতা নয়, প্রেমের স্বীকৃতি চাই।
এতোটা আর্তনাদ এ বুকে কখনো জমেনি কসম -
নীরবতা ভেঙ্গে দোহাই লাগে একটা কিছু বলো,
এ আর্তনাদ এক ফুৎকারে উড়ে যাবে উন্মত্ত শূন্যতায়।
অনিশ্চয়তা ঠেলে একবার, শুধু একটিবার আমার দিকে এগিয়ে এসো -
তোমার চোখের অভিশপ্ত বিষাদ অন্ধকারে মিলিয়ে
তুমুল উল্লাসে প্রেমের স্বর্গদুয়ারে নিয়ে যাবো কথা দিলাম -
যে প্রেম এ বুকে ধারণ করেছি নিপুন নিষ্ঠায়, দৃঢ়তায়।