তোমাকে খুঁজতে গেছে তিমিরের সারাবেলা জাগরণে
টকটকে লাল ঘুমে ঢুলুঢুলু নেশাতুর দু’টি চোখ।
যে পথ ধরে তোমার নিয়মিত চলাচল,
সেই পথের পানে উন্মুখ হয়ে সে চেয়ে থাকে নিস্পলক।
ছায়া ধীরে ধীরে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় –
কিন্তু এই জনারণ্যে চিরচেনা মুক্তোঝরা হাসিমাখা
অপরূপ চলার ভঙ্গিমা নজরে আসে না তার।
কোলাহলমুখর চারিপাশ সহসাই ঝাপসা হয়ে যায়।
তার সাথে তুমি কথা না বললে দু’দণ্ড,
মায়াময় আঁখি দু’টি তুলে ফিরে নাইবা চাইলে –
তবু চেনা সেই পথ দিয়ে হেঁটে যেও অন্ততঃ একটিবার।
তোমাকে খুঁজতে গেছে নিরাশ্রয় পাঁচটি আঙ্গুল –
যে আঙ্গুল আশ্রয় পেয়েছিলো একদিন
তোমার কোমল করতলে পরম নির্ভরতায়।
আশ্রয় হতে চেয়েছে অনেকেই ব্যথাতুর সে আঙ্গুলের,
কিন্তু সসম্মানে সে এড়িয়ে গিয়েছে সেই আশ্রয়।
মায়ের কাছে একটি শিশু যেমন আশ্রয় পায় নিশ্চিন্ত নির্ভরতায়,
দ্বিতীয় কোনো মা কি তার তেমন আশ্রয় হতে পারে !
নিরাশ্রয় পাঁচটি আঙ্গুলকে তুমি ফের আশ্রয় না দিলে,
মুহূর্তের জন্য আর কখনোই বেখেয়ালে ছুঁয়ে না দিলে -
তবু চেনা সেই হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ো অন্ততঃ একটিবার।
তোমাকে খুঁজতে গেছে স্বপ্নভাঙ্গার আগুনে পোড়া
ঘরছাড়া স্বপ্নহারা একটি মানবিক দগ্ধহৃদয় –
তুমি তারে ভালোবাসা না দাও, মিথ্যে কিছু স্বপ্ন হলেও দিয়ো
যার জন্য একটা জীবন বাঁচতে ইচ্ছে করে।