আর দু-একটি সিড়ি ডিঙিয়ে উঠে পড়েছে সে দুজন,
তারপর তারা দিবে আকাশ পাড়ি,
বারিধারাহীন এক স্বচ্ছ আকাশ।

রমণী ডাকছে সে তরুণ প্রণয়ীকে;
"আসো আসো ওহে ভালোবাসা,দুমুঠো ভালোবাসো,
বিকেলের গপ্প আজ পাখি গুলোকে শুনাব।

তোমার হাতের সিগারেট ফেলে দাও,বুকভরে প্রয়াস করো প্রণয়!
দেখো না!আমার উড়ছে চুল,
যে চুলের ঢালে প্রায়শই তুমি তোমার মুখ লুকিয়ে রাখো।

তবুও তোমার মুখ থেকে ভাসছে ধোয়াশা,
দেখো সুদূরের আকাশে কল-কারখানার দূষিত কুয়াশা।

দেখো আকাশ আমাদের প্রতীক্ষায় বসে আছে কত যুগ ধরে,
হাতে ধবধবে শাদা ফুল নিয়ে,লাল-নীল শাড়ি পড়ে।
যেন আমাদের প্রীতি সন্ধান করতে চাই,
কিন্তু এটি তো আকাশের নীল সমুদ্র হতেও গহীন।

তোমার কাধকে আমার জন্য প্রসস্থ করে দাও,
আমি আমার মাথা এলিয়ে দিব।
পিছনে জোড়া-জোড়া কবুতর উড়াউড়ি করছে,
গোধূলি হয়েছে তো,ঘরের কবুতর ঘরে ফিরছে।

দেখো উড়ে গেল দুটো গাঙচিল,
এ অবনীর কিছু তাদের সান্নিধ্যে নেই।
তারা তাদেরই চিত্ত গগনে হারিয়ে আছে,তীক্ষ্ণ চোখে ভালোবাসা নিয়ে।

দেখো অস্তপার দেখো,
দেখো সন্ধ্যাতারা।
ছুয়ে দেখো এই মুগ্ধতা।
তোমার সাথে মুগ্ধ হতে আমি আছি প্রিয়তম।

দেখো নীড়ে ফেরার জন্য কাতর হয়ে উড়ছে পাখির ঝাক,
দেখো আমাদের পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিচ্ছে,
গোধূলির এক ফালি পূর্ণিমা চাঁদ।

দেখো কিছু জোনাকি মিটমিট করছে,
হঠাৎই আঁধার ছেয়ে যাওয়া বৃক্ষে ঝিকিমিকি করে উঠছে।

আকাশে এসেছে কিছু নিরস নক্ষত্র,
দেখো নক্ষত্রের নিয়ন আলো নিভে গেছে,
আছে শুধু দুটি তারার বিচ্ছেদ।

ওহে বিলাসী,দেখো ওই পাড়ের এক বালক,
কাঁটা মুকুট ছুড়ছে আর ছিড়ছে।
দেখো তার কাব্যিক দৃষ্টি,
কিভাবে তাকিয়ে আছে সে,
তার মনের মাঝে এক বালিকা এসে বলছে,
দেখো ভালোবাসা কত সুন্দর।

আমি জানি না,সে বালিকা কি আমাদের কথা সে বালককে বলে গেছে?

চোখে চোখ রেখো না প্রিয়,,
শুধু আমার হাতটি ধরে রাখো;
আর দু-জোড়া অক্ষি দেখুক একই অন্তরীক্ষ।


পরিত্যক্ত দালানকোঠার বারান্দা হয়ে লাল চাঁদের আভা আসতে থাকুক,
ডাকুক ডাহুক,
আমাদের ভালোবাসা আকাশ তার ত্রিসীমানায় আটকে রাখুক,
এই বিলাস অনন্তকাল চলুক।

গগনের ফুল হাতে নিয়ে আমি আমার সমস্ত ভালোবাসা নিয়ে বসে আছি,
ওহে স্বপ্ন-বালক!তুমি কি আমাকে আমার মৃত্যু পর্যন্ত কিছু ভালোবাসা ধার দেবে?"