রাত্রি যখন খুব ঘনিয়ে আসে,
এক বালিকা আমার ধার ধারে,
শূন্যে মিলিয়ে যাওয়ার মতো করে,
শূন্যে জন্ম নেয় কিছু অস্তিত্ব।
কিছু অস্তিত্ব আমাকে শোনাই গল্প,
আর কেউ আমার কল্পলোকে এসে,
খুঁচিয়ে বের করে অদ্ভুত উপন্যাস,
সে বালিকা আমায় শোনাই কবিতা।
তারা সকলে মিলে আমার,
রাত্রির ঘুম হারাম করেছে।
তারা মিটিয়ে নেয়,
তাদের আজন্মের স্বাদ,
নিজেকে মনে হয় বদ্ধ উন্মাদ।
আমি কবি নয়,
কখনো কবি হওয়ার চেতনা আসেনি।
তবে যেদিন আমার নান্দনিক প্রতিভা,
উন্মোচন করেছি;
যেদিন প্রথম কাব্য লিখেছি,
নিজেকে ভেবেছি;
অতিশয় ভাগ্যবান কেউ।
তখন;
এই আবছা আঁধারের বালিকা,
তার আবৃত্তি করা সব কবিতা,
এই শূন্যের অদৃশ্য অস্তিত্ব,
তাদের শোনানো গল্প,
খুঁচিয়ে রচিত উপন্যাস,
আমার অনেক ভালো লাগত।
আমি রজনীর জন্য সবসময়,
প্রতীক্ষা করতাম,
প্রার্থনা করতাম।
কিন্তু এখন এই পাংশুটে নিশি,
আমি কাম্য করি না।
নিশা নিকট হলে,তাদের অস্তিত্ব প্রকট হয়,
আমার জন্য রাত্তির ভারী ভয়ানক,
বিভীষিকাময়।
কিছুদিন যাবৎ রাত্রি ঘনিয়ে এলে,
আমার সমস্ত জুড়ে জন্ম নেয় এক বিষাক্ত অবসাদ,
নিজেকে মনে হয় বদ্ধ উন্মাদ।