শোন, প্রেম কি জানো?
কখনো হয়না মনে অমৃতের ছোয়া পাও
কখনো ইচ্ছে হয়না বাতাসে উড়ে বেড়াও
কখনো কষ্ট হয়না?
কখনো কাঁদো না?
আমি কেঁদেছি,
তোমায় হারানোর বেদনায়,
সেবার আমি প্রেমে পড়িনি,
কিন্তু অদ্ভুত কিছু পেয়েছিলাম
অদ্ভুত, তার থেকেও বিচিত্র!
বিষণ্ণ মন নিয়ে আগলে রেখেছিলাম
তাকে, তোমাকে, অদ্ভুতুড়ে তোমাকে!
কিভাবে?
মৃতপ্রায় ব্যাক্তি যে কথাই বলেনা
যে নাকি জানেনা ইশ্বরের লীলা খেলা
যে শোনেনা সমাজের আর্তনাদ
সে নাকি কাব্যে তার প্রান খুজে?
যার স্কন্ধে হাত রেখে জন্মাতো বিশ্বাস
সে নাকি ডিঙিয়ে গেলো আমার মরনপ্রভাত!
শোন মৃন্ময়ী,
কখনো মনে হয়না?
আজ ইচ্ছে করেই কাঁদবো প্রাণখুলে!
কখনো যদি মেঘ হয়ে আসি তোমার শহরে
বিচিত্রতায় ঘিরে থাকা তুমি
আমার ছোয়া লাগাবে তোমার সমস্ত দেহ দিয়ে?
কখনো আচমকা বাতাস হয়ে আসি আমি
তুমি কি আমার গন্ধে বিভোর হবে?
হবে কি নেশায় মত্ত?
নাকি তুমি চোখ ফিরিয়ে নিয়ে কাঁদবে?
কখনো হবো আমবস্যা
ঘিরে ফেলবো তোমায় আমার অন্ধকারে
গ্রাস করে ফেলবো তোমার মনকে আমার মতো করে
তুমি কি পারবে আমায় ফিরিয়ে দিতে?
লুকাতে পারবে নিজেকে অন্ধকার থেকে?
আমি আকাশ মর্ত্যলোক জয় করবোনা
তোমায় আমি স্বর্গলোক দিবোনা
শুধু দিবো আমার স্কন্ধদেশ
যেখানে থাকবে তোমার আশা
দিবো আমার পুরোটা হৃদপিন্ড
যেখানে থাকবে তুমি পুরোটা।
দিবো আমি ভোরের সূর্য
আমি দেবো ঘুমন্ত বাতাস
দেবো এক টুকরো হিমালয়ের বরফ
সাথে কিছু মেঘযুক্ত আকাশ
আসবে তুমি আমার কাছে,
আপন আমায় ফিরিয়ে নিতে?
আসবে কি?
এক সহস্র জলপ্রপাত নিয়ে
যেখানে থাকবে শুধুই প্রেম
যেখানে থাকবে আমার অস্তিত্ব।
নাকি তুমি আমার শহর নিয়ে ভীত
আমায় ভয় করো?
মানুষ নই কি আমি?
তবে আমার অস্তিত্ব নিয়ে ভীত?
আমি কি অস্তিত্বহীন?
আমি কি ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টিকারী?
শোন মৃণ্ময়ী,
আমি দেবোনা তোমায় অহেতুক প্রেমালাপ
দিবো একগুচ্ছ অশ্রু,
সেখানে খুজে পাবে আমায়, আমার আমিকে
খুজে পাবে আমার অস্তিত্ব।