আমি একা রাস্তায় দাঁড়িয়ে
কিছু জোনাকির সাথে যাচ্ছি হারিয়ে
কিছু অন্ধকার বাতাস নিয়ে যাচ্ছে আমায়
সীমাহীন রাস্তার নিশ্চুপ ধারায়।
আমি মাতাল হয়ে আছি!
মাতালতায় ডুবে আছি!
আমি নিশ্চিহ্ন দেশের প্রবাসী
শুধু শিকড়ের টানে বেচে আছি।
কিছু নিশ্চিহ্নতায়,স্বপ্ন বয়ে যায়
কিছু মায়াধরা আধারে,থমকে যাই মৌনতায়
তবু আমি আছি অস্তিত্ব রক্ষার্থে
আমি আছি থমে যাবার জন্যে
মৌনতা, আশ্চর্য সেটাও আজ বর্তমান
মৃত্যুর হাতছানি!
অমৃত্যুর ছায়া!
ইশ্বর আমি মৃত্যু চাইনি!
আমি অমৃত্যুই চাইনি!
আমি চেয়েছি একরাশ বিশালতা।
জ্যোৎস্নার আলো আজ নিশ্চিহ্ন,
মধ্যরাতে জ্যোৎস্নার চোখে আজ অশ্রুর বাহার?
জ্যোৎস্নার অশ্রু দিয়ে তীক্ষ্ণ করে নেবো নিজেকে
জ্যোৎস্না দেখবো আজ অমৃত্যুর পানে চেয়ে
জ্যোৎস্নায় আমার ছায়া নেই
হে ইশ্বর! তার মরণব্যাধি অনন্তে
আমি কি ছায়াহীন মানব?
আমার অস্তিত্ব নেই?
অস্তিত্ব নেই কি আমার?
জ্যোৎস্না আলো কলঙ্কের দাগ ফেলেছে
আমার অন্তরের গভীরতায়,
জ্যোৎস্নার আলোয় আমি নিঃসঙ্গ
আমি অমৃত্যুর হাতছানি পাই।
সম্প্রদায় আমি কখনো চাইনি,
চেয়েছি একার অস্তিত্ব!
যা চাই তা কোথাও নেই!
যা আছে তা আমার অস্তিত্বে নেই!
ইশ্বর, প্রয়োজন কি জ্যোৎস্নার?
তার উজ্জ্বলতা কেড়ে নাও
ইশ্বর, প্রয়োজন কি তোমার?
তুমি ধ্বংস হয়ে যাও!
আমার প্রয়োজন নেই!
আমি কি বেচে থাকবো?
অস্তিত্ব রক্ষার্থে কি আমি বেচে থাকবো?
অস্তিত্বই আমাকে ধ্বংস করে দিবে!
এপিটাফে কি লিখা যায়?
অস্তত্ব রক্ষার্থে মানবের মৃত্যু?
নাকি অস্তিত্ব রক্ষার্থে জ্যোৎস্না মৃত্যু?