অন্যের একাধিক কবিতা নিজের নামে প্রকাশ করায় গত মাসে রিপন গুণ নামের একজনকে কবিতার আসর থেকে ব্যান করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে একাধিকবার ইমেইলে ক্ষমা প্রার্থনা করে সে আমাদের জানিয়েছে যে তার লগইন ব্যবহার করে তার ছোট ভাই অনেক সময় লেখা প্রকাশ করতো, এবং তার অজান্তে সে এই কুকর্মটি করেছে। এমন ভুল আর হবে না জানানোয় ইতিমধ্যে প্রকাশিত অন্যদের কবিতা মুছে ফেলার শর্তে রিপন গুণকে আমরা পুনরায় আসরে সক্রিয় করি।
ইতিমধ্যে 'কাশবন ছেলে রিপন গুণ' নামে নতুন এক একাউন্ট খুলে রিপন গুণ কবিতা লেখা শুরু করে। সেখানে সে মন্তব্যের মাধ্যমে জানায় যে কেউ তার একাউন্ট হ্যাক করে অন্যের কবিতা প্রকাশ করেছিলো। (যদিও আমাদের বলা হয়েছে তার ছোট ভাই এই কাজটি করেছে।)
রিপন গুণকে সক্রিয় করার পর ১০ দিন অতিবাহিত হলেও অন্যের লেখা কবিতাগুলো তার পাতা থেকে মুছে ফেলায় সে কোন ভূমিকা রাখেনি। বরং ইতিমধ্যে অন্যদের কাছ থেকে কবিতা চুরির ব্যপারে তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। পরবর্তীতে যাঁচাই করে আমরা দেখতে পাই তার প্রকাশিত ৮৫-টি কবিতার মধ্যে ২০-এর উপর কবিতাই অন্যদের থেকে চুরি করা। এর মধ্যে বেশ কিছু কবিতা আমাদের কবিতার আসরেই অন্যেরা প্রকাশ করেছিলো ইতিপূর্বে। তাই আমরা রিপন গুণের একাউন্টের ক্ষমতা তার হাত থেকে নিজেদের হাতে নিয়ে নেই।
বুঝার সুবিদার্থে চুরি করা প্রতিটি কবিতার নামের আগে '** চুরি করা কবিতা' যোগ করে দিয়েছি আমরা, এবং মন্তব্যে মূল লেখকের কবিতার লিঙ্ক দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রিপন গুণ আমাদের ইমেইলে জানিয়েছে যে তার পাতা থেকে অন্যের কবিতাগুলোকে মুছে ফেলার জন্য যথেষ্ট সময় না দেয়ায় সে মর্মাহত। (১০ দিনের উপর সময় পাওয়ার পর।) এবং তার পাতায় তার সর্বশেষ কবিতাটিতে মন্তব্যের মাধ্যমে সবাইকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে যে তার অজান্তে তার কবিতার নামগুলো পরিবর্তন করাতেই (যা কিনা বাংলা-কবিতার এডমিন করেছে) প্রমানিত হচ্ছে যে কেউ তার একাউন্ট হ্যাক করছে।
ইমেইল ও আসরের বার্তায় দ্বিচারিতার জন্য আমরা ঠিক করেছি ইমেইলের মাধ্যমে না করে রিপন গুণকে সবার সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়ার। তাই রিপন গুণের কোন বক্তব্য থাকলে তাকে এখানে মন্তব্যের মাধ্যমে তা জানানোর অনুরোধ করছি।
এবং আসরের অন্য সবার প্রতি অনুরোধ, দয়া করে অন্যের কবিতা নিজের নামে চালানোর চেষ্টা করবেন না কেউ। কেউ খারাপ লিখলেও সেটাই এখানে প্রকাশ করুন। আসরের অন্য সবার উৎসাহ উদ্দীপনায়, এবং নিয়মিত কাব্যচর্চায় একদিন অবশ্যই আপনার লেখার উন্নতি হবে। কিন্তু অন্যের লেখা চুরি করে সাময়িক বাহবা আদায় করতে পারলেও সত্যিকারের কবি হিসাবে কখনও নিজেকে তৈরি করতে পারবেন না।