এ গল্প মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য নয়। এ কাহিনি পাগলি-টাগলির জন্যও নয়। বরং সেই পাগলমত কবিটার জন্য যিনি শত শত তরুণ কবিকে মেঘবালিকা দিয়েছেন, শত শত তরুণীকে মেঘবালিকা করেছেন। এখনো হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে কবি, তোমায় ফেবু বা টুইটারে না পেয়ে। এখনো, এই মুহুর্তটিতেও,  বহু বহুতল গিলে নিচ্ছে "তারা ঢাকা মেঘ, মেঘে ঢাকা তারা"।  আধার কার্ডের লাইনএ ঢুকছে বেড়োচ্ছে,  স্কুল কলেজ যাচ্ছে, লক্ষ লক্ষ " প্রেমে পরা মেয়ে।"

(  প্রেমে পড়া মেয়ে-

"ভোরবেলা এল মেয়ে, মুখে তার প্রেমে-পড়া দাগ
ভোরবেলা ভিজে এল, এই বৃষ্টি জীবনে দেখেনি
রাতে ঘুমোয়নি মেয়ে, সারারাত সে-ই নিশীথিনী
ভোরে উঠে বেরিয়েছে, সকালটি গায়ের চাদরে
লেগে আছে রোদ হয়ে, বোঝাচ্ছেও ‘বাবা-বাছা’ করে
‘খেয়ে যা, খেয়ে যা দুটো’, মেয়ের সেদিকে নেই মন
কারণ সে ভোরের মেয়ে, দিনের আলোর সঙ্গে আসে
সঙ্গে কেউ নেই তার, বই নেই, খাতা নেই, বন্ধু না সখী না
শুধু প্রেম সঙ্গে করে একান্ত গাছের কাছে গিয়ে
সে বলে সমস্ত ভেঙে – ‘আর পড়া ধোরো না আমায়
আজ এই সকালবেলা, বাবুল, নৈহার ছুট যায় …."

)

এখনো ঋণ কবিতাটার মতই ছাদে উঠলে শুনতে পাই একটা পুরোনো বাংলা গান।

হ্যাপি বার্থডে কবি। তোমার বইয়ের পেছনের পাতায় আঁকা ছবিটা দেখে বা না দেখে বলতে পারি- কবি ও কবিতা, "তোমার সঙ্গে ভোঁরভয়ো কাটাবো জীবন। "