আমি কোনো দিন কারো জন্য কাঁদতে শিখি নি
শুধু নিজের জন্যই কেঁদেছি নিজেকে তাকিয়ে-
উন্মাদের মত কেঁদেছি

মনেপরে-
বিকেলের মাতাল হাওয়া
উন্মাদ গাছের মগডালে লতা-পাতারা,
সম্পর্কের শেকলে বাঁধা
এই প্রশস্ত বাহুতে মাথা গুজে রেখেছো-
সোনালি সূর্যের নিস্তেজ কিরণ
এলো চুল, হাসির ফোয়ারা
আমাকে চন্দ্র গ্রহণের মত শোষণ করছে
অবোধ বালকের মত চেয়ে ছিলাম।

মনেপরে-
সে বসন্তে বলছিলে
তোমাকে নিয়ে যেন কবিতা লিখি
নামের প্রত্যেকটা অক্ষরে,
সাজাতে হবে সেই কবিতার লাইন
আগের মতই শিমুলের পাপড়িতে
আকঁতে হবে প্রচ্ছদ।

সময়মত কবিতা লেখা হলো না
আঁকা হয় নি প্রচ্ছদ
বসন্ত আসে-বসন্ত যায়, আজ নতুন বসন্ত

এইতো সেদিনও এখানটাতেই ছিলে
জ্বলজ্বল করছে পাজরের আয়নায় সে প্রতিচ্ছবি,

নিজের দিকে তাকিয়েছি আজও
আজও কেঁদেছি নিজের জন্য
ফিরে আসবে বলে কবিতার প্রত্যেক লাইনে
বুলিয়ে দিয়েছি অশ্রুর দর্পণ