ঈশ্বরের নাম এক অক্ষরে লেখা হয়
তিনি কাদামাখা হয়ে ঘুড়ির নাটাই হাতে দেখলে
মার্বেল হাতে মুন্নাদুরি খেলতে দেখলে
কিংবা ভর দুপুরের রোদে গোল্লাছুট খেলতে দেখলে
লাঠি হাতে তেড়ে আসেন।
তাঁর হাত শক্ত, খসখসে,
তাঁর আঙুলের ঠোঁট ধারালো বটীতে কুচি কুচি করে খাজকাটা।
তাঁর মাথায় নত হয়ে থাকে পুরনো কাপড়ের একখণ্ড আঁচল
তাঁর নাকে চিকচিক করে হেসে ওঠে সোনার নাকফুল
দুই হাতে বেড়ির মতো একজোড়া চুড়ি।
যিনি নিজের নাম লিখতে গিয়ে
ভেঙে ফেলেন কলমের নিব
যিনি কান্না-হাসির সমস্ত ভাষা বোঝেন।
তাঁর বুকে অমৃত, হৃদয়ে মমতা।
আমি জ্বরে ঘুমিয়ে পড়লে
মাথাটা কোলে তুলে নেন-
হাত বুলিয়ে, বিলিকেটে ঘুম পাড়িয়ে দেন
জলপট্টি দেবার জন্য ছোটাছুটি করেন...।
চোখে জল দেখলে তার চোখেও জল গড়িয়ে পড়ে
ঠোঁটে হাসি দেখলে তাঁর ঠোঁটেও হাসি ফোটে...।
জল থেকে মনুষ্য জনম আমার
তারপর তাঁর কোলে
কোল থেকে মাটিতে
তিনি আঙুল ছুঁয়ে হাঁটতে শেখালেন, দৌড়তে শেখালেন
আমি বেড়ে উঠি
তিনি ছেটো হতে থাকেন ক্রমশ
তারপর ছোট হতে হতে একদিন মিশে যান মাটির সাথে...।