বহুদিন পরে নয়ানজুলির ধারে,পলাশের ছায়ায় আরিনীর সঙ্গে দেখা ......
কৌষিক বিষন্নতা থেকে এই গাছের ছায়ায় একদিন ভালোবাসার জন্ম হয়েছিলো।
সেদিন গলায় ছিলো গানের গয়না জড়ানো একটি অভিমানী উত্তরীয়।
তার পায়ের তুলিতে ক্ষিতিজ স্বপ্নেরা ভিড় করেছিলো ক্যাসুরিনা ফুলের মতো।
সেই কবেকার জাফরানী আকাশের স্মৃতি মিশে ছিলো তার চুলের কিঞ্জলে।
আঙুলের সাংকেতিক ইস্তেহারে লেখা ছিলো অর্ধ শতাব্দীর বিবক্ষু বীতরাগ।
চোখ দুটিতে, তৃষ্ণার্ত আকাশে হঠাৎ ঘনিয়ে আসা আষাঢ়িয়া মেঘের আশ্লেষ।
একটি অতীব সূক্ষ্ম সুখ ঘুরে বেড়ায় তার মনের আনাচে কানাচে ......
পায়ে পায়ে দুর্লভ সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো .....
শুরু হোলো ক্লান্ত মানুষের নিশ্চিন্ত ঘরে ফেরা .....
আরিনী, তুমি কার কাছে যাবে ?
________________________________________
Returning home
After many days, by the roadside stream, in the shadow of a fountain tree,
I met Arini...
From the darkness of cellular solitude, one day, love was born under the shade of this tree.
That day, around her neck, hung a proud necklace of songs, in the form of a touchy scarf.
At the tip of her foot, earthy dreams clashed like the petals of saffron flowers.
The memories of those old purple skies mingled in her hair like pollen grains.
In the symbolic eloquence of her fingers was written the verse of urging repulsiveness from half a century ago.
In her two eyes, the thirst-ridden sky suddenly thickened with the monsoon clouds.
A supremely delicate joy circled within the nooks and crannies of her heart...
Step by step, a rare evening silently descended...
Tired people began their insouciant return back to home...
Arini, where will you go?