পাহাড়ি পথের ধারে ফুটে আছে শুভ্র শঙ্খমূল
মেঘে মেঘে আকাশের স্খলিত ঘোমটার বার্তা ভাসে
মাঝে মাঝে উতল বাতাসে উড়ে যায় একাকী হংসিনী
তোমার খোলা চুলে খেলা করে প্রভঞ্জনের হর্ষিত সংলাপ
—বেহিসেবী।
অগুন্তি ভেড়াদের স্রোত বয়ে যায় দুই পাশে
দূরে দুই মেষ পালকের হাতে পাহাড়িয়া বাঁশী
কোথাও কেউ নেই দেখে হঠাৎ স্পর্ধিত চুম্বন
ওষ্ঠের মৌতাতে বাধা দিলো অসহিষ্ণু শিঙা
— বেরসিক।
পথ ঘুরে উঠে যায় পাহাড়ের শীষ বাংলোয়
বৃত্তাকার বাগান, মেঘ ছোঁয়া বৈলাম গাছের সারি
পাকে পাকে বেঁধেছো যাকে অনন্যা প্রদক্ষিণরতা
সে আজও কেন্দ্র ছুঁয়ে বসে আছে সব সম্পদ উজাড় করে
— বেহায়া।
গোধূলির শেষ আলো জানালায় পড়েছে যখন -
মনের গভীর বাঁকে জমে আছে অপেক্ষার সঞ্চারী-আভোগ
আলিঙ্গনে, চোঁয়ানো আলোয় যতটুকু যায় চেনা
শরীরের উষ্ণতা অন্তরায় থেকে স্থায়িত্বের দিকে যেতে চায়
—বেপরোয়া।