পাহাড়ি পথের ধারে ফুটে আছে শুভ্র শঙ্খমূল
মেঘে মেঘে আকাশের স্খলিত ঘোমটার জলছবি
মাঝে মাঝে উতল বাতাসে উড়ে যায় একাকী হংসিনী
খোলা চুলে খেলা করে প্রভঞ্জনের হর্ষিত সংলাপ
অগুন্তি ভেড়াদের স্রোতে সময় বয়ে যায় দুই পাশে
দূরে দুই মেষ পালকের হাতে পাহাড়িয়া বাঁশী
কোথাও আর কেউ নেই। ভেসে আসে বিষণ্ণ ধুন
বৃষ্টির মৌতাতে বাধা দিলো অসহিষ্ণু সৌদামিনী
পথ ঘুরে উঠে যায় পাহাড়ের শীষ বাংলোয়
বৃত্তাকার বাগান, মেঘ ছোঁয়া বৈলাম গাছের সারি
পাকে পাকে বেঁধেছো যাকে অনন্যা প্রদক্ষিণরতা
সে আজও কেন্দ্র ছুঁয়ে বসে আছে সম্পদ উজাড় করে
গোধূলির শেষ আলো জানালায় পড়েছে যখন —
মনের গভীর বাঁকে জমে আছে অপেক্ষার সঞ্চারী-আভোগ
আলিঙ্গনে, চোঁয়ানো আলোয় যতটুকু যায় চেনা—
উষ্ণতা সাবধানে পা ফেলে স্থায়ি থেকে অন্তরায়।