আমি জীবন চষে-ফিরি বিস্তৃত প্রান্তরে
ঘাসের ডগার শিশির বিন্দুকে পা'য়ের তলায় পিষে
বটবৃক্ষের চূড়ায় কাকদের সাথে দলাদলি খেলে
মাটির সাথে মিশে মাটি হই—এক লহমায়।

বন্দরের উপর দিয়ে উড়ে চলে বকপক্ষি
স্বাধীনতার খোঁজে পাখিদের দিকে
নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মানুষ।

আবর্জনা থেকে বেরিয়ে আসে রজনীগন্ধা।

একজন বৃদ্ধ, বিড়ালের চোখে চোখ রেখে
নিজের দুর্দান্ত যৌনবকে মূহুর্তেই স্মরণে ধরে৷

জীবনের আকন্ঠ সরবরতা পেরিয়ে
মানুষ যেমনি ভাবে মাটিতে অস্তিবরণ হই
ঠিক নিয়মে ঝরা পাতাগুলোও
মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে।

কৃষ্ণচূড়ারা মরে যাচ্ছে।

আকাশ থেকে খষে পড়ে সুখতারা
সূর্য গ্রহণের আশায় আশায়
যৌবনের চূড়াতে পৌছে যাচ্ছে যুবা।
পশ্চিমের সূর্যদয়ে রক্তিম আভা
দূর আকাশে উড়ে চলে একটি গাঙচিল
মরণোন্মুখে যাত্রী রূপে এগিয়ে চলছে বৃদ্ধ
এসব চিত্র আমি চষে-ফিরি প্রতিদিন-প্রতিনিয়ত।
এসব মূলত চিরায়ত নিয়ম, চিরন্তন শ্বাশত।

একদল যুবা হুল্লোল পাকিয়ে হেঁটে চলে
পায়ে পায়ে তাদের দুরন্ত যৌবন কানামাছি খেলে।

ওদিকে একটি ন্যাংড়া কুকুর
চিকিৎসার অভাবে তিন পা'য়ে ঘোরে।

জীবন-মৃত্যুর দোটানায় দাসত্বের জীবন্তিকা
জোটা-পাকানো সুতোর মতো জটিল হচ্ছে।
গঞ্জের হাট থেকে বিভিন্ন খদ্দের জীবন নিয়ে ফিরে।
আমাবস্যার রাতে জোনাকিদের কদর বাড়ে।
একখণ্ড বৃদ্ধ বিড়ি ফুকে আর রাজনৈতিক
বিধিবহির্ভূত মানদণ্ডের পর্যালোচনা করে।
কিছু চশমখোর রাজনৈতিক ধান্দায়
এক নৌকা থেকে আরেক নৌকায় দাপাদাপি করে।
নিতান্ত ভদ্রলোক অপ্রাসঙ্গিক খোশগল্প এড়িয়ে চলে।

অপলক দৃষ্টিতে পাখির চোখে তাকিয়ে থাকি
আমি উপলব্ধি করি নাগরিক জীবন এবং সংগ্রাম
আদিম মানুষে পরিণত হই—এক লহমায়।