এ চোখে ঘুম নেই
প্রত্যেকটা সেকেন্ড উপলব্ধি করছি নিজেকে
প্রহর গুনছি বুঝি অন্তিমদশার
এ র্দুদশায় দুঃখের কথা ছাড়া যেন কিছুই স্মরণে নেই
চোখের জলে ভেসে উঠছে সুবহময় স্মৃতিগুলো
ক্ষণিকেই যেন ঘুরে আসলাম জীবনের পুরোটা সময়।

নক্ষত্রখোচিত রাত, জোনাকির আলো
ঝি পোকার ডাক, কুচকুচে কালো রাত,
আধার কালোর আওয়াজ
এসব কিছুই যেন আজ ভালো লাগছে না
অথচ এসব আমার বেশ প্রিয়
একাকিত্বে এসবের সাথে আলিঙ্গন করি প্রত্যহ।

বিদঘুটে কালোতে আজ নেই কোন শিহরণ
জাগরণ নেই কোন ভুল বা মিথ্যার অতিদংশনে
হিংসে হয় না আর বিত্তের উচ্চতা দেখে
মিথ্যাকেও খুব যত্নে আপন করেছি আমি
মনোহর চিত্তে এখন শুধু মনে পড়ছে
ভুল নামগুলোর কথা
যারা আমার সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলো—স্বার্থের লোভে
ভুল উদ্দেশ্যের পিছু ছুটতে ছুটতে আজ আমি ব্যর্থ।
আসলে সবকিছুই আমার ভূল!
আমার মনে রাখা উচিত ছিলো—
কনভিনিয়েন্সের প্রেম কাউকে কিছু দেয় না, তার দায়দায়িত্ব অতি সীমিত।
মনে রাখা প্রয়োজন ছিলো—কিছু প্রত্যাশা না করে দিতে পারে যারা, তারাই তো প্রেম।
অথচ আজ দীর্ঘদিন পর সেই ভুলগুলো বুঝতে পারছি আমি।

যাইহোক, প্রতিটা রাত আমি এই আঁধারেই দেখি চির-সুন্দর আর চির-সত্যের কায়া
কিন্ত আজ বড় এলোমেলো হয়ে গেছে সবকিছু
অর্থহীন-বাহুল্য মনে হচ্ছে জীবনের চাওয়াগুলো
জীবনের আয়ুষ্কাল এতো সামান্য
তবু এই সংকীর্ণ গণ্ডিতেও আমাদের এতো আকাঙ্খা কেন?
আজ নিজেকে প্রশ্ন করতে বড্ড ইচ্ছে করছে
আমি কি শুধুই পাওয়ার আশায় বেঁচে আছি?
আসলেই একি মানুষ হয়ে বাঁচা
নাকি আমার আমিত্বকে প্রতি মুহূর্তে হনন করা?

০৬জুন,২০২০ইং।