ছেলেটি তাহার প্রান ছিল,
বায়না ছিল অনেক।
নিজে না খেয়ে অন্ন তাকে দিল,
তাকে নিয়ে স্বপ্ন বাঁধলো হরেক।
বাছা আমার সোনার মতন,
তোরা দেখিস বৃদ্ধ হলে আমায় করবে
যতন।
স্বপ্ন তার হাজার রকম,
করব আমি পূরণ।
খোকা আমার হয়েছে বড়,
পূর্ণবয়সে সে করেছে পর্দাপন।
চাঁদপানা মুখ বউ এনেছি,
দেখিস এসে তোরা।
বউ না যেন মেয়ের মতো,
মায়া মুখটি ভরা।
বাছা আমার ভারি খুশি নতুন বধু পেয়ে,
বছর চারেক যেতে খোকার কী হলো যে গিয়ে।
এখন খোকা আসে না আর আগের মতো ধেয়ে,
হয়তো খোকা ব্যস্ত খুব তার কর্মস্থল নিয়ে।
বধূর বুঝি কষ্ট হয় এখন আমায় নিয়ে,
মুখ হয়ে যায় ভার তাহার ভাতের থালা দিয়ে।
এমন করে চলছিল দিন সময়ের স্রোতে ভেসে,
অনেক দিন পরে খোকা বসল পাশঘেঁষে।
বলল দেখো এমন করে আর চলে না দিন,
বুঝে গেলাম সময় এসেছে হবার গৃহহীন।
হাসিমুখে ছেড়ে দিলাম নিজের গড়া আশ্রম,
খোকা আমার রেখেছে যতন দিয়েছে
শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম।