কতটুকু প্রাপ্তি দিয়ে জীবনটাকে ভরানো যায়
সঠিকভাবে তা আমি আদৌ জানি না –
তুমিতো অনেক ফুলকে নদী হতে দেখেছো
কোন পথে যাবো বলে দাও নবীনা!
জীবনের মশাল হাতে আমি চলেছি যে পথে
সেখানে সুস্থ থাকে না কেউ বেশী দিন
অবশ্যম্ভাবী সবাইকে পচে যেতে হয় –
আর চরমভাবে পচে যাওয়ার নাম হয় সার্থকতা!
প্রথাগত সমাজে আমরা এই সার্থকতার পেছনে ছুটে চলি
আমরা সবাই সার্থকতার পোষাক পরতে চাই,
আমাদের আর কিছু চাই না! মানুষের মননে
মানুষের হৃদয়ের বিকশিত সব ফুল ঝরে যাক ঝরে যাক,
আমরা তাতে কিছুই হারাই না...
নবীনা, আমি তবে সে পথেই যাই?
যে পথে হারানোর কিছু নাই?
গহীন আঁধার হজম করে যে পথের মানুষেরা সুখী-
তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে তারা বড় করে ভুড়ি –
সন্তান লালন করে বিদেশ যায় করে গাড়ি বাড়ি –
আর খুব সহজেই ভুলে যায় ভালোবাসা মনুষ্যত্বের দায়-
যেহেতু তারা সুখী!
এ সমাজ কোন পরিবর্তন চায় না আর –
শুধু দাস চায়! শুধু দাস!
ডানে বামে সামনে পিছনে উপরে নিচে আকাশে পাতালে
কোটি কোটি দাস...
শিকড় গেঁড়ে কঠিন বন্ধনে আবদ্ধ দাসেরা জানে খুব জানে
প্রতিষ্ঠিত প্রথাকে তোষণ করলেই সফল হয় জীবন
উদাসীন হলে পিছিয়ে যেতে হয় –
আর বিদ্রোহ করলে মরে যেতে হয়!
আমাকে ক্ষমা করো নবীনা! নদীর প্রতিকূলে আমিও যাবো না!
আমি বরং মিশে যাবো নষ্ট সময়ের এই বাঁধভাঙ্গা স্রোতে... ...