তুমি কার বুকে মুখ রেখে নিরবধিকাল সয়ে গেলে?
তোমার স্বপ্নের ভাঁজে ভাঁজে
হৃদয়ের খাঁজে খাঁজে চেতনার পাটে পাটে লুকিয়ে রেখেছ যাকে-
তাকে আমি চিনি;
সে যে বিশ্ব কাঁপানো ছেলে ভুলানো এক নষ্ট মেয়েছেলে
বাঁজা রমণী! নিজের প্রাপ্তিটাই তার কাছে অনেক বড়
শুরুতেই চেয়ে বসে কড়ায়গণ্ডায় হিসেব করে নিয়ে যায়
সব অনাদায়ী সুখ, তবুও মাঝে মাঝে অকারণেই ফুঁসে উঠে
তোমায় জ্বালিয়ে খাক খাক!
কখনো কখনো রাতের শেষ প্রহরে তোমায় ঘুমন্ত পেয়ে ঘর পালিয়ে
সূর্যমুখী খালের ধারে ভ্রাম্যমাণ পথিকের বুকে চেপে বসে-
তবু তুমি কিছু পারো না জানতে!
আচ্ছা তুমি কি সুখ পাচ্ছো?
তোমার বুকে বাসা বাঁধার আগে ঐ নষ্টটার এত আশ্বাস
সে কি সব রেখেছে?
তোমার দেহের শিরায় শিরায় এখন কি প্রবাহিত হয় নীল রক্ত?
তোমার দু’চোখে এখন কি নক্ষত্রলোকের হারানো নক্ষত্রগুলোকে দেখতে পাও?
তবে সময় থাকতেই পাওনা সব বুঝে নাও!
নতুবা দেরি হয়ে গেলে তোমার মগজের মগডালে পা ঝুলিয়ে
তোমার সাজানো বাগান তছনছ করে খিলখিলিয়ে হেসে উঠবে এই শর্তহীন রমণী-
“কবিতা”!