আজ থেকে কয়েক হাজার বছর পরে
হয়ত বা লক্ষ লক্ষ বছর পরও হতে পারে;
পৃথিবীর ইতিহাস যখন আরও বেশি সমৃ্দ্ধ
মহাবিশ্বের মানচিত্রে অনেকটা রদ বদল,
সাহিত্য,সঙ্গীত নতুন ঘরানায় পুষ্ট বা দুষ্ট
যাই হোক,তুমি কিন্তু থাকবে অবিকল,
আর থাকবে আমার লেখা কবিতা সকল।

তুমি হাসছো!ভাবছো,তোমার হাতের স্পর্শ
যে কোন দিন পেলনা,তোমার মায়া ঠোঁটের
আদ্র প্রেম,স্বর্গ বক্ষের উষ্ণ প্রশান্তি যার কাছে
দুঃস্বপ্নের তাড়না মাত্র,তার কল্পনা শক্তির
কি ভীষণ বাড় বাড়ন্ত!সে তুমি যাই ভাব,শুধু
স্বপ্ন প্রাসাদ থেকে উঁকি দিয়ে পৃথিবীকে দেখো,
দেখবে সাতপাকের বাঁধনও কত শিথিল,ভঙ্গুর।


রঙমাখা মুখোশে রাতদিন ফেরি করে বিশ্বাস
প্রতিদিন তিরবেগে ছুটে চলা,হাজার ছলাকলা,
বলা না বলা,মিথ্যার শিল্পকলা,শিথিল হয় গীট;
মালাবদলের মালায় জন্মে শ্মাশানের কীট।
বাসর,ফুল সজ্জা,সন্তান সব বহুরূপি তরজা,
শতেক আলোকবর্য দূরে পাশাপাশি শোয়া
লোমকূপে নোনা জল,বন্ধ সবকটা দরজা।

ঢের ভালো এর চেয়ে,বহু দূর গ্রহ থেকে
পিটি পিটি চাওয়া,নাওয়া খাওয়া শোয়া আর
স্বপ্নের ফাঁকে ফাঁকে মনের ভাবনা-সুখ টুকু
চোখের কোনায় কোনায় আদ্র হয়ে ওঠা।
যে ফুল ফোটিনি কালে,সম্ভাবনা মরেছে অকালে
দেবতার পায়ের ছোঁয়া জোটেনি কপালে
সৌভাগ্য, তবু মালী পথ চায়, তার ফুটে ওঠা।

হয়ত একদিন ডিজিটাল সভ্যতার পতন হবে,
আবার আসবে দোয়াতে চোপান খাগড়া কলম;
কিংবা উল্টো টাও হতে পারে-চোখের তারায়
থাকতে পারে কল্পলোকের পাসওয়ার্ড, তবু
তুমি আর আমার কবিতা থাকবে একই ধারায়।
জানিনা, কততম বিশ্বযুদ্ধের পরে আসবে শান্তি
পৃথিবীর বুকে।জানিনা,কবে সবাই থাকবে সুখে,
সমাজ বলবে,শুধু মনের দাবিতে ভালোবাসবে!
শুধু এই জানি,তুমি আর আমার কবিতা  থাকবে।

হয়ত কোন অতল সমুদ্র গর্ভে ঝিনুকের বুকে
মুক্ত হয়ে,হয়ত পাললিক শিলার কোন স্তরে
আমার অতৃপ্ত প্রেমের জীবাশ্ম হয়ে, কিংবা
হয়ত শান্তিনিকেতনের পথে,খয়েরী পাড়ের
সাদা শাড়িতে,ঝোলা ব্যাগ কাঁধে বেনি বাঁধা
চুলে চপলা স্বপন চারিণী তন্বী ষোড়শী রূপে।
হয়ত নতুন নামে-বিদিশা,বিপাশা কিংবা পূর্বাশা
উদ্বেলিত ঝর্ণা বুকে ধরে একই ভালোবাসা
যুগান্তরে যুগিয়ে যাবে,আমার কবিতার ভাষা।