তারার মিতালী
অচিন্ত্য সরকার
আকাশের গা বেয়ে ঘামের মত রোদ্দুর পড়া
গোধুলি বিকেলে তোমায় দেখলাম আর একবার
গঙ্গার ভাঙা পাড়ে, একাকী উদাসী আনমনা
গঙ্গার আন্দোলিত বুকে পড়ো রদ্দুর হয়েছে সোনা।
তোমার এলো চুলে খেলা করছে ভাটিয়ালী বাতাস;
শিথিল আঁচল হয়েছে বেলাগাম নিটোল বুকের উত্তাপে,
নির্বিকল্প দাঁড়িয়ে আছো, শীতের রিক্ত ডালে জোর
করে আটকে থাকা শেষ পাতাটির মতো ;মনে হল
ওই পাতাটির বোঁটার মত অনিশ্চিত তোমার প্রতীক্ষা।
তবু চেয়ে আছো...ক’জনই বা এমন থাকতে পারে!
গঙ্গার বুকের উদ্দাম তরঙ্গ, এক চুল টলাটে পারিনি
তোমায়।গঙ্গার আফুরন্ত জল রাশি,শীতল করতে
পারেনি বুকের উত্তাপ।তোমার অষ্টাদশী চপলতা
ছিনিয়ে নিয়ে সেই যে তারা হয়ে গেল অনির্বাণ,
তোমাকে দিয়ে গেল বিষাদ সিন্ধুর নোনতা গান।
বাইশ বছর সেই তারার মিতালী তে মজে আছো।
তারারাই হয়ত এমন বিশুদ্ধতম উষ্ণতার একমাত্র
পার্থিব দাবিদার,তাই তোমাকে ডাকিনি আর।