সবচেয়ে বড় কোর্ট শুনলাম নাকি রায় দিয়েছে
পরকীয়া অপরাধ নয়।অনেকে বুক ঠুকে বলছে
এবার কেটে গেল ভয়,প্রেমের হয়েছে দারুণ জয়।
কোর্টের রায়ে প্রেম- ভালোবাসা,পাটিগণিতের ছন্দে,
এসব বিশেষ বুঝি না কিছু,নেই আমি কোন দ্বন্দ্বে।
বৃষ্টির ধারার মত এসেছে প্রেম,হিসেব নিকেশ হীন;
পরকীয়া কাকে বলে মনে হয় বুঝিনি;বোঝার মতো
বিলাসিতা কিংবা সময় কোনটাই হয়নি কোন দিন।
তবে কি জান দূরপ্রিয়া,এখন কখনও কখনও বড্ড
মনে হয় তোমার সাথে কাটাই কিছুটা সময়।সব
চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে,সব কোলাহলের অন্তে-
নিতান্ত একান্তে; তোমার বুকে মুখ রেখে,ক্লান্ত স্নায়ু
গুলোকে একটু সতেজ করি।তোমার আঙুলের
পরশ পাক আমার চল্লিশ ঊর্ধ্ব আধ ফাঁকা মাথার
টাক।আমি আধ বোজা চোখে,তোমার ঠোঁটে ঠোঁট
আর নিন্দুকের চোখে চোখ রেখে,এক বার বেঁচে মরি।
জানো,এখন কখনও কখনও নিজেকে খুব অস্থির
মনে হয়,মনে হয় সব মেকি,সব কিছু পোশাকি,
সন্তান পরিজন,চাকরি সব!আমি যেন কোমরে
খিলান দেওয়া এক ঢেঁকি।লাথির তালে তালে
ইচ্ছায়,অনিচ্ছায়,ভেঙে চলি সম্ভবনা,যেটুকু বাকি।
শুধু কয়েকটা মুহূর্ত ছিকল ছেড়ে নিজেকে মুক্ত করি
কবিতার খাতায়;তুমি আস উতলা নদীর অপর তীরে
কত রাজ রাজারা তোমাকে ঘিরে,এক পলক দেখি,
তারপর, পুনরায় হারিয়ে যাও আটপৌরে ভিড়ে।
দেখনা, তোমাকে নির্দিষ্ট করে কিছু কথা বলতে
চেয়েচিলাম,তাল কেটে কোথায় হারিয়ে গেলাম।
হ্যাঁ হ্যাঁ মনে পড়েছে,পরকীয়া!আরে আমার যে
নরেনের দশা হল,মুখ ফুটে এই চাইব বিধাতার কাছে!
চাইলে সে তো ডেকে নিতেই পারে পাশে।কবিতা-দূত,
মোর বার্তা নিয়ে যাও তাঁর তরে,যে মোরে জুড়াতে পারে।
পরকীয়া, সে কি শুধু সাত পাকের বাইরেই করে ক্রিয়া?
প্রিয়া যদি হয় কোকিল-প্রিয়া,আপন ঘরে, রোজই পরকীয়া।